শ্রমিক মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
ইস্কোর কারখানায় গ্যাস লিক করে মৃত্যু হল দুই অস্থায়ী শ্রমিকের। বুধবার দুপুরে এই ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিম বর্ধমানের বার্নপুরে। ঘটনার জেরে মৃতদের পরিজনদের চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
কারখানার শ্রমিকদের বক্তব্য, বুধবার দুপুরে কারখানার একটি নির্দিষ্ট অংশে কাজ করার সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। শ্রমিকরা জানিয়েছেন, কারখানার সিওবি ১১ নম্বর ব্যাটারি ইউনিটে ঘটেছে ওই ঘটনা। ট্যাঙ্কে নেমে কাজ করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন সুমন বিশ্বাস এবং বাপন সরকার নামে দুই ঠিকা শ্রমিক। তাঁদের উদ্ধার করে ইস্কো হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান।
ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী প্রলয় চৌধুরী নামে এক ঠিকা শ্রমিক বলেন, ‘‘সালফার ট্যাঙ্কে কাজ করছিলাম। সকালে কোনও গ্যাস ছিল না। আড়াইটে নাগাদ কাজে নামি। প্রথমে সুমন নামে। কিন্তু কিছু ক্ষণ পর ওর আর কোনও আওয়াজ পাচ্ছিলাম না। তার পর বাপন নামে। ওরও আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এর পর ব্যাপারটা খতিয়ে দেখতে শ্যামাপ্রসাদ দে-ও নেমেছিল। কিন্তু কিছু দূর নেমেই ও উঠে এসেছে। আরও এক জন নামার চেষ্টা করে। কিন্তু সে-ও বেশি দূর নামতে পারেনি। পরে সিআইএসএফ এসে অক্সিজেন মাস্ক পরে নেমে ওদের উদ্ধার করে। গ্যাস কেউ খুলেছে। তবে এই ঘটনা ঘটেছে।’’
মৃতদের পরিজনদের চাকরির দাবিতে বুধবার বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হীরাপুর থানার পুলিশও। শ্রমিক নেতারা কারখানা কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন।
ইস্কোর ডিজিএম অজিত কুমার সিংহ বলেন, ‘‘একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে ওই কমিটির কাছে। কেন এই ঘটনা ঘটল এবং কোন গ্যাসে শ্রমিকরা মারা গেলেন তার সবিস্তার রিপোর্ট ওই তদন্ত কমিটি জানাবে। এমন ঘটনা না হওয়াই উচিত ছিল। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তার জন্য এই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী কারখানা কর্তৃপক্ষ কাজ করবেন।’’