শোকস্তব্ধ পরিবার। নিজস্ব চিত্র।
বেপরোয়া লরির ধাক্কায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল একই পরিবারের তিন সদস্য-সহ ৪ জনের। রবিবার দু্র্ঘটনাটি ঘটে বর্ধমানের ২ নম্বর জাতীয় সড়কের আলিশা গ্রামের কাছে। মৃতেরা হলেন বিষ্টু রুইদাস(৪৮),ঝর্ণা রুইদাস(৪৩), চম্পা রুইদাস(৪২) এবং সরস্বতী সেন (৫০)। বিষ্টু, ঝর্ণা এবং চম্পা একই পরিবারের সদস্য। গুরুতর জখম অবস্থায় সরস্বতীকে জাতীয় সড়কের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
তবে বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ওই চার জনের সঙ্গে থাকা অঞ্জু কোটাল। তিনি বলেন, “ আমাদের পাঁচ জনের এ দিন বোরো ধান রোয়ার কাজ করতে বাঁকুড়া মোড়ে যাওয়ার কথা ছিল। সকলেই ভোর চারটের সময় বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলাম। চার জন আগে আগে যাচ্ছিলেন, আমি একটু পিছনে ছিলাম। জাতীয় সড়কের ধার দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় দুর্গাপুরমুখী একটি লরি সামনে থাকা চার জনকে পিষে দিয়ে চলে যায়।” ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় একই পরিবারের তিন সদস্যের।
চারজনের মৃত্যুতে গোটা আলিশা গ্রাম শোকস্তব্ধ। গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় রুইদাস, রঞ্জিত রুইদাসরা বলেন, “কী করব ভেবে পাচ্ছি না। এ রকম দুর্ঘটনার খবর পেয়ে গোটা গ্রামের বাসিন্দারা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।”
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে যান রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। জেলাশাসক এনাউর রহমানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। স্বপন জানান, জেলাশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে। পরিবারগুলো যাকে দ্রুত ক্ষতিপূরণ পায় তা দেখতে বলা হয়েছে জেলাশাসককে। তবে লরির এখও কোনও হদিশ মেলেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।