কালনা বইমেলায় মডেল বসিয়ে মূর্তি তৈরি শিল্পীর। ছবি: জাভেদ আরফিন মণ্ডল।
বই কেনার জন্য দুপুর থেকেই ভিড় দেখা যাচ্ছে স্কুল পড়ুয়া থেকে সাধারণ মানুষের। বিভিন্ন বইয়ের সম্ভার নিয়ে কালনা বইমেলায় আসা প্রকাশনী সংস্থা কর্মীদের দাবি, বিক্রি ক্রমশ বাড়ছে।
কালনার শিক্ষক সমাজ, ছাত্র-যুব সমাজ ও প্রবীণ নাগরিকদের উদ্যোগে এ বার বই মেলা পা দিয়েছে তৃতীয় বছরে। রবিবার উদ্বোধনের দিনে বইয়ের স্টলগুলিতে ভিড় কিছুটা কম হলেও সোমবার থেকে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। মঙ্গলবার অনেক স্কুল এবং কলেজ পড়ুয়াদের দেখা যায় সেখানে। খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, ভ্রমণ, রান্না, পুজো, স্থানীয় ইতিহাস নিয়ে বই কিনছেন বহু পাঠক। চাহিদা রয়েছে গোপাল ভাঁড়, ঠাকুরমার ঝুলি, বেতাল পঞ্চবিংশতির মতো ছোটদের বইয়েরও। লীলা মজুমদার, সমরেশ মজুমদার, সুকুমার রায়, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বইয়েরও চাহিদা রয়েছে ভাল। এ ছাড়াও ক্যুইজ, বিভিন্ন দেবদেবীর গল্প, আঁকার বইয়ের ভাল চাহিদা রয়েছে মেলায়।
বর্ণমালা প্রকাশনীর তরফে কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘স্থানীয় লেখকদের বেশ কিছু বই রয়েছে আমাদের কাছে। ক্রেতারা অনেকেই তার খোঁজ করছেন। আশা করছি কয়েক দিনে বিক্রি আরও ভাল হবে।’’ মেলা প্রাঙ্গনে থাকছে নানা অনুষ্ঠানও। এ দিন অঙ্কন প্রতিযোগিতায় যোগ দেয় অনেক প্রতিযোগী। সন্ধ্যা নামলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতেও ভিড় হচ্ছে ভালই। চা, কফি, কেক, পিঠে, বাদাম, জিলিপির দোকানেও
জমছে ভিড়।
রচনা কর্মকার নামে এক তরুণী বলেন, ‘‘বই তো কিনছিই। অনুষ্ঠান দেখা, রকমারি স্বাদের খাবারও খাওয়া হচ্ছে।’’ বই মেলার আহ্বায়ক সুব্রত পাল বলেন, ‘‘বই বিক্রি ভাল হচ্ছে। প্রচুর মানুষ আসছেন। কত টাকার বই বিক্রি হল, সেই ব্যাপারে আমরা খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেছি।’’