আবার এক বার আলুর দাম বাড়তে পারে। —ফাইল চিত্র।
আবার আলুর মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা। শনিবার রাত থেকেই রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় ধর্মঘট শুরু করেছেন আলু ব্যবসায়ীরা। আবার অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্মঘট করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। রবিবার সংগঠনের পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাপতি উত্তম পাল বলেন, ‘‘সোমবার থেকে আমরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছি।’’
ভিন্রাজ্যে আলু রফতানিতে পুলিশের বাধার অভিযোগ তুলে গত ২০ জুলাই রাজ্য জুড়ে ‘কর্মবিরতি’র ডাক দিয়েছিল প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। টানা পাঁচ দিন চলে সেই ধর্মঘট। যার জেরে রাজ্যের বাজারগুলিতে আলুর সঙ্কট শুরু হয়। বাজারে চড়া দামে বিক্রি হয় আলু। শেষ পর্যন্ত রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ও কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্নার সঙ্গে বৈঠকে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস মেলায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন আলু ব্যবসায়ীরা। নতুন করে ধর্মঘট কেন? প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি উত্তম পাল বলেন, ‘‘গত ২৪ জুলাই হরিপালে মন্ত্রী বেচারাম মান্নার সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানে তিনি বলেছিলেন, দু’-চার দিনের মধ্যে আমাদের সমস্যার সমাধান করা হবে। তার পর গত ৮ অগস্ট আবার মন্ত্রী বেচারাম মান্না এবং প্রদীপ মজুমদারের সঙ্গে আলু ব্যবসায়ীদের বৈঠক হয়েছে। সেখানেও প্রদীপবাবু জানান, আলুর দাম খোলা বাজারে কেজিতে ২৫ টাকার বেশি নেওয়া হবে না। এই দাম পূর্ব বর্ধমান, হুগলি এবং হাওড়া জেলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আর বাঁকুড়া, মেদিনীপুর জেলায় আলুর গুণগত মান খারাপ। তাই ওই জেলাগুলিতে আলু প্রতি কেজিতে ২৩ টাকায় বিক্রি করতে হবে। আমরা রাজি হলে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকেও বিষয়টি বোঝাতে পারবেন বলে জানান।’’ উত্তমের সংযোজন, ‘‘আমরা সেই দাবি মেনেও নিয়েছিলাম। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভিন্রাজ্যে আলুর পাঠানোর ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বর্ডারে (সীমান্তে) পুলিশ মোটা টাকার বিনিময়ে আলুবোঝাই লরি পার করতে দিচ্ছে। আমরা চাই, ভিন্রাজ্যে আলু পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনও বাধা যেন না থাকে।’’
আলু ব্যবসায়ীরা আবার ধর্মঘট শুরু করলে আগামী সপ্তাহ থেকেই বাজারে এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। পুজোর আগেই আরও এক বার আলুর দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন অনেকে।