Toto

Toto: ‘ভুয়ো’ স্টিকার সাঁটিয়ে চলছে টোটো, নালিশ

দফতরের আধিকারিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, মহকুমায় এই মুহূর্তে দশ হাজারেরও বেশি টোটো চলছে!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৬:২০
Share:

এ ধরনের টোটোগুলি নিয়েই অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।

রয়েছে, নম্বর, ‘অনুমোদনের স্টিকার’। অভিযোগ, তা পরিবহণ দফতরের দেওয়া নয়, ‘ভুয়ো’। এই ভুয়ো নম্বর, স্টিকার সেঁটেই দিব্যি চলাচল করছে টোটো, এমনই অভিযোগে শুক্রবার আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত ‘আসানসোল সাব-ডিভিশনাল মোটর ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন’ বিক্ষোভ দেখাল শহরে। বেশ কয়েকটি টোটো-কে ধরে পরিবহণ দফতরের হাতে তুলেও দিতে দেখা যায় সংগঠনের সদস্যদের।

Advertisement

গত পাঁচ বছর ধরে আসানসোল মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ টোটো চলাচলের অভিযোগ রয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। জেলা পরিবহণ দফতর জানায়, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মহকুমায় টোটো-র প্রায় ৪০টি শোরুম তৈরি হয়েছে। ২০১৬-র ফেব্রুয়ারিতে পরিবহণ দফতর এবং আসানসোল পুরসভা যৌথ উদ্যোগে মহকুমার ৮৭২ জন টোটো চালককে ‘টিন’ (‌টেম্পোরারি আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) দেওয়া হয়েছে। এগুলির মধ্যে রানিগঞ্জে ৫৫৭, আসানসোলে ২১৫, কুলটিতে ৯০ এবং জামুড়িয়ায় ১০ জন ‘টিন’ পেয়েছেন। পরিবহণ আধিকারিকেরা জানান, এই টোটোগুলি বাস ও অটোর রুট বাদ দিয়ে চলাচল করবে বলে ঠিক হয়। কিন্তু পরিবহণ দফতরের আধিকারিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, মহকুমায় এই মুহূর্তে দশ হাজারেরও বেশি টোটো চলছে!

কী ভাবে চলছে এই সংখ্যক টোটো? ওই সংগঠনটির অভিযোগ, পরিবহণ দফতরের ভুয়ো নম্বর ও অনুমোদন সংক্রান্ত স্টিকার সেঁটে টোটো চলাচল শুরু হয়েছে। তেমনই একটি টোটোর পিছনে দেখা গেল, ‘ডব্লিউবি....’ দিয়ে চার সংখ্যার একটি নম্বর লেখা। কোথা থেকে মিলেছে এই নম্বর? আসানসোলের রবীন্দ্র ভবন লাগোয়া এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা ওই টোটো-র চালক সঞ্জয় দাসের জবাব, ‘‘জাতীয় সড়ক লাগোয়া এক এলাকায়, শোরুম থেকে টোটো কিনেছি। সেখান থেকেই নম্বরটি দিয়ে বলা হয়েছে, এটিই পরিবহণ দফতরের অনুমোদিত নম্বর। রাস্তায় কেউ ধরবে না।’’ কিন্তু নম্বর তো পরিবহণ দফতরের দেওয়ার কথা? এ প্রশ্নে অবশ্য কিছু বলতে পারেননি সঞ্জয়।

Advertisement

আসানসোল সাব-ডিভিশনাল মোটর ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের আহ্বায়ক রাজু অহলুওয়ালিয়ার অভিযোগ, ‘‘টিন ছাড়া, রাস্তায় টোটো চলাচল নিষিদ্ধ করেছে পরিবহণ দফতর। তাই শহরের কিছু শোরুম থেকে এ ভাবে অবৈধ টোটো বিক্রি করা হচ্ছে। এর ফলে, পথ-নিরাপত্তার বিষয়টি লঙ্ঘিত হচ্ছে। এলাকার সাধারণ বেকার যুবকেরাও প্রতারিত হচ্ছেন।’’ এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি ওই শোরুমগুলির কর্তৃপক্ষ।

জেলা পরিবহণ আধিকারিক সজল অধিকারী বলেন, ‘‘টোটো চলাচলের জন্য পরিবহণ দফতর থেকে কোনও অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এটা একেবারেই অবৈধ। এ বিষয়ে মৌখিক ভাবে অভিযোগ পেয়েছি। কয়েকটি শোরুমের খোঁজও মিলেছে। দ্রুত অভিযান চলানো হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement