স্থানীয় সূত্রে খবর, কিছু দিন ধরে গ্রামে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। —প্রতীকী চিত্র।
চাঁদা তোলা নিয়ে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলে উত্তপ্ত পূর্ব বর্ধমানের গলসি। সোমবার গলসির ১ নম্বর ব্লকের পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েতের জাগুলিপাড়া গ্রামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে আহত হলেন অন্তত ৫ জন। আহতদের ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কিছু দিন ধরে গ্রামে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। একটি গোষ্ঠীর নেতা মহম্মদ মোল্লা এবং অপর গোষ্ঠীর নেতা শেখ আবু বক্করের মধ্যে ঝামেলা লেগেই থাকে বলে অভিযোগ। রবিবার চাঁদা তোলা এবং ফোনে হুমকি দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সোমবারের মধ্যে এক গোষ্ঠীর কর্মীরা অন্য গোষ্ঠীর উপর চড়াও হয়। তাতে মাথা ফাটে এক তৃণমূল কর্মীর। তার পরই শুরু হয় মারামারি। দু’পক্ষের হাতাহাতিতে জখম হন ৫ জন। আহতরা প্রত্যেকেই জাগুলিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত।
তৃণমূল নেতা আবু বক্করের অভিযোগ, ‘‘মহম্মদ মোল্লার নেতৃত্বে কয়েক জন ছেলে গ্রামে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছিল। এ নিয়ে রবিবার গ্রামের এক বাসিন্দা তাঁদের বলেন, ‘গ্রামে অশান্তি করা যাবে না।’ কিন্তু রবিবার এ নিয়ে অশান্তি শুরু হয়।’’ তিনি জানান, মহম্মদ মোল্লা তৃণমূল করেন। তিনিও ১৯৯৮ সাল থেকে এই দলের সঙ্গে যুক্ত।
রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন, ‘‘ক্লাব নিয়ে গ্রামের দু’পক্ষের মধ্যে অশান্তি হয়েছে। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।’’
অন্য দিকে, বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য জয়দীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এখানে তোলাবাজি নিয়ে অশান্তি করেছে তৃণমূল। গ্রামের একটি ছেলে বেঙ্গালুরুর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর চিকিৎসার খরচ জোগাড়ে গ্রামে চাঁদা তোলা হচ্ছিল। কিন্তু আবু বক্কর চাঁদা তুলতে বাধা দেন। সোমবার সকালে শেখ সোয়েল নামে আমাদের ক্লাবের এক সদস্যকে আবু বক্করের লোকজন মারধর করছে বলে খবর পাই। তাঁর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়। ৮টি সেলাই পড়েছে ওই যুবকের মাথায়।’’