প্রতীকী ছবি।
জেলার তিনটি বিধানসভা এলাকায় ‘বুথ লেভেল এজেন্ট’রা (বিএলএ) কতটা সক্রিয় তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। দল সূত্রের দাবি, এই মর্মে দলীয় নেতৃত্বকে রিপোর্ট দিয়েছেন ভোটার তালিকা সংক্রান্ত বিষয়ের দায়িত্বে থাকা নেতা তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্ত।
তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে উত্তমবাবু দলের জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের কাছে ভাতার, রায়না ও জামালপুর বিধানসভা এলাকায় ভোটার তালিকা তৈরিতে খামতি রয়েছে বলে অভিযোগ জানান। ওই তিনটি বিধানসভা কোনও ‘সমন্বয়’ রাখছে না, সেখানে তৃণমূলের বিএলএ-রা বসছেন কি না তা অজানা,এমনকি, তাঁদের তালিকাও জেলা দফতরে জমা পড়েনি বলে দাবি করেছেন তিনি।
রায়না থেকে জয়ী হয়ে জেলা পরিষদের সদস্য হয়েছেন উত্তমবাবু। তাঁর এলাকাতেও কেন এই পরিস্থিতি, সে প্রশ্নে তাঁর জবাব, ‘‘যা বলার, দলের জেলা সভাপতিকে বলেছি।’’ ভাতারের বিধায়ক তথা দলের কো-অর্ডিনেটর সুভাষ মণ্ডলের অবশ্য দাবি, ‘‘এ তথ্য ঠিক নয়। সব জায়গাতেই বিএলএ-রা ছিলেন। শনি ও রবিবার ভোটার তালিকা সংক্রান্ত বিশেষ ক্যাম্পেও তাঁরা দায়িত্ব পালন করেছেন।’’
জামালপুরের ব্লক তৃণমূল সভাপতি সীমান্ত রায়ের বক্তব্য, ‘‘জামালপুরে প্রতিটি বুথে বিএলএ ছিলেন। তবে নতুন বিএলএ-দের নাম ব্লক বা দলীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠাতে দেরি হয়েছিল।’’ দলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের দাবি, তিনটি বিধানসভার সংশ্লিষ্ট নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। সমস্যা মিটে গিয়েছে।
পক্ষান্তরে, বিজেপির দাবি, ভোটার তালিকা গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য প্রায় ৯৮ শতাংশ বুথেই তাদের বিএলএ-রা রয়েছেন।
মঙ্গলবার সিপিএমের তরফে জেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে ভোটার তালিকা ঠিক ভাবে তৈরি করার দাবি জানানো হয়। তাদের অভিযোগ, তালিকায় অনেক মৃত, ভুয়ো ভোটারের নাম রয়েছে। ২০১৬ সালে পঞ্চায়েত, পুরসভা, হাসপাতালের রেজিস্টার দেখে মৃতদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল। এ বারও তা করার দাবি তুলেছেন সিপিএম নেতারা। তাঁদের আরও দাবি, ভোটার স্লিপ ঠিকমতো মিলছে না। নির্দিষ্ট বুথে বুথ লেভেল অফিসারেরা থাকছেন না। প্রশাসনের তরফে দাবিগুলি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।