কর্মসূচি নেওয়ার ব্যাপারে কঠোর ভাবে মানতে হবে দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশ— জামুড়িয়ায় দলের যুব সংগঠনের দু’টি মিছিল নিয়ে তৈরি হওয়া চাপানউতোরের পরে দলের নিচুতলাকে এমনই বার্তা পাঠালেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
রবিবার সকালে জামুড়িয়ায় যুব তৃণমূলের কোর কমিটির পাঁচ জন সদস্যের নেতৃত্বে মিছিল হয়। বিকেলেই আবার যুব তৃণমূলেরই নামে একটি মিছিল বেরোয়। তাতে ছিলেন শ্যাম গোষ্ঠীর কারখানায় দৌরাত্ম্যের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কৃত নেতা অলোক দাস। ছিলেন যুব তৃণমূলের আসানসোল (শিল্পাঞ্চল) কার্যকরী সভাপতি ববিতা দাস-সহ কয়েক জন নেতানেত্রীও। এই মিছিল-পাল্টা মিছিল নিয়েই দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
তৃণমূল সূত্রের খবর, সোমবার রাজ্য তৃণমূলের তরফে দলের বর্ধমানের শিল্পাঞ্চলের নেতৃত্বকে শৃঙ্খলারক্ষার ব্যাপারে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। দলের জেলা (শিল্পাঞ্চল) কার্যকরী সভাপতি ভি শিবদাসন জানান, দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় উচ্চ নেতৃত্বের পরামর্শ মতো বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে নানা স্তরে। দলের সমস্ত ব্লক সভাপতি, বিভিন্ন শাখা সংগঠনের ব্লক সভাপতিদের জানানো হয়েছে, কোনও অঞ্চল বা ওয়ার্ডে কর্মসূচি নিতে হলে জেলা নেতৃত্বের অনুমতি নিতে হবে। ব্লকের মাধ্যমে ওই অনুমতির আর্জি পোঁছে দিতে হবে জেলা স্তরে। ব্লক স্তরের কর্মসূচিতেও নিতে হবে জেলা নেতৃত্বের অনুমোদন। প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ছাড়পত্রের প্রতিলিপি স্থনীয় থানায় জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি অপূর্ব মুখোপাধ্যা বলেন, ‘‘রাজ্য নেতৃত্ব জানিয়েছে, কোনও নেতা নির্দেশ না মানলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নেওয়া হবে।’’
যুব তৃণমূলের জামুড়িয়া ব্লক কোর কমিটির সদস্য সত্যজিৎ অধিকারী বলেন, ‘‘দলের এই পদক্ষেপে আমরা খুশি।’’ ববিতাদেবী যদিও কোনও নির্দেশ পাওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘‘দলকে বলব, কোর কমিটি যেন জেলা নেতৃত্বের সবার সঙ্গে সমন্বয় রাখে।’’ যদিও শৃঙ্খলারক্ষার নির্দেশকে কটাক্ষ করে অলোকবাবুর বক্তব্য, ‘‘বহিষ্কারের পরে চার মাস কেটে গেলেও এখনও হাতে কোনও চিঠি পাইনি।’’ অপূর্ববাবু অবশ্য বলেন, ‘‘সাংবাদিক বৈঠক করে বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তার পরে আর চিঠি পাঠানোর দরকার নেই।’’