মলয়ের বাড়ির সামনে কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ তৃণমূলের।
রাজ্যের রাজ্যের পূর্ত ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই অভিযান হতেই রাস্তায় নামল তৃণমূল। উঠল সিবিআই এবং ইডির বিরোধিতায় স্লোগান। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধেও স্লোগান তুললেন তৃণমূল নেতা কর্মীরা।
বুধবার আসানসোলে মলয়ের তিনটি এবং কলকাতার দুটি বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। কয়লা পাচার মামলায় এই তল্লাশি বলে খবর। বুধবার সকাল থেকেই আসানসোলের একাধিক জায়গায় যায় সিবিআইয়ের দল। তবে আসানসোলে মলয়ের আপকার গার্ডেনের বাড়িতে সিবিআই হানা দেওয়ার অব্যবহিত পর সেখানে পৌঁছে যান মন্ত্রীর অনুগামীরা। শুরু হয়ে য়ায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান।
প্রথমে ‘মলয় ঘটক জিন্দাবাদ’ স্লোগান তোলেন তাঁর অনুগামীরা। তার পর ‘নরেন্দ্র মোদী হায় হায়’, ‘সিবিআই-ইডি দূর হঠো’ বলে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে বিজেপির দালাল বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূল নেতা কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, যে বিজেপি নেতারা দুর্নীতিগ্রস্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এক মলয়-অনুগামীর কথায়,‘‘বিজেপি নেতাদের বাড়িতে কেন সিবিআই, ইডি যায় না? কেন শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না?’’
উল্লখ্য, সম্প্রতি কয়লা পাচার মামলায় অতি সক্রিয় হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। গত শুক্রবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। এর আগে এই মামলাতেই মলয়কে ইডি নোটিস পাঠিয়েছিল। যদিও তিনি হাজিরা দেননি ।
অন্য দিকে, মলয়ের বাড়িতে সিবিআই হানার প্রেক্ষিতে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্যের একের পর এক মন্ত্রী ঢুকে যাচ্ছেন জেলে। ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো মন্ত্রিসভাটাই জেলে ঢুকে যাবে। তখন আর এই সরকার থাকবে না। ডিসেম্বরের মধ্যেই রাজ্যে পট পরিবর্তন হবে।’’