Kalna Municipality

Kalna Municipality: কালনার পুরপ্রধান নির্বাচন নিয়ে বৈঠক, দলের নির্দেশই শেষ, দাবি সবার

জেলার আরও পাঁচটি পুরসভার সঙ্গে কালনাতেও পুরপ্রধান ও উপপুরপ্রধানের নাম জানায় তৃণমূল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা, কালনা শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২২ ০৭:৪৩
Share:

মতবিরোধ হওয়ায় জানালা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা এক তৃণমূল নেতার।

দল পুরপ্রধান হিসাবে এক জনের নাম ঘোষণা করেছিল। কিন্তু তৃণমূলেরই একাংশ কাউন্সিলর সেই সিদ্ধান্ত না মেনে ১৬ মার্চ অন্য জনকে পুরপ্রধান করার দাবি তোলেন। ঝামেলা, মন্ত্রীর সামনে রেলিং থেকে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা-সহ নানা ঘটনার পরে পুরপ্রধান ও কাউন্সিলরদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পিছিয়ে যায়। এক নেতাকে বহিষ্কারও করে দল। পূর্ব বর্ধমানের কালনার পুরপ্রধান ঘোষণার জট কাটাতে সোমবার ১৭ জন কাউন্সিলরকেই কলকাতায় ডেকে পাঠানো হয়। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের নির্দেশ মানবেন বলে লিখিত আকারে জানিয়েছেন তাঁরা। জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কালনা পুরসভা নিয়ে দলীয় স্তরে একটি বৈঠক হয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান কে হবেন, তা দ্রুত জানিয়ে দেওয়া হবে।’’

Advertisement

জেলার আরও পাঁচটি পুরসভার সঙ্গে কালনাতেও পুরপ্রধান ও উপপুরপ্রধানের নাম জানায় তৃণমূল। পুরপ্রধান হিসাবে চার নম্বর ওয়ার্ড থেকে জেতা প্রাক্তন পুরপ্রশাসক আনন্দ দত্তকে বাছা হয়। ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে দলের শহর সভাপতি তপন পোড়েলের নাম জানানো হয়। তবে কালনার পুরশ্রী মঞ্চে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পরে চেয়ারম্যান ঘোষণার সভায় শুরু হয় গণ্ডগোল। দলের ১২ জন কাউন্সিলর পুরপ্রধান হিসাবে তপনকে চান। ভোটাভুটিতে তপনের পক্ষে ১২টি এবং আনন্দর পক্ষে চারটি ভোট পড়ে। ওই পর্বের শেষে স্বপন দেবনাথেই সামনেই পুরশ্রী ভবনের দোতলার বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করেন অনিল বসু নামে এক কাউন্সিলর। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি দেখিয়ে সভা বাতিল করে প্রশাসন। ওই দিনই দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয় শহর সভাপতি তপনকে।

তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, এ দিন বৈঠকে যোগ দিতে ১২ জন কাউন্সিলর একটি বাসে রওনা দেন। আনন্দ দত্ত-সহ পাঁচ জন রওনা দেন অন্য গাড়িতে। বেলা ২টো নাগাদ নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে নিজের ঘরে তাঁদের নিয়ে বৈঠক করেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ছিলেন জেলার আর এক মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুরু থেকেই কড়া ছিলেন অরূপ। দুই কাউন্সিলর ভুল স্বীকার করে কেঁদেও ফেলেন। বহিষ্কৃত নেতাও নিজের ভুল স্বীকার করে দলকে চিঠি দেন। কাউন্সিলরেরা তাঁদের ক্ষোভের কথাও জানান। তবে দলের সিদ্ধান্তই যে শেষ কথা, তা মেনেছেন তাঁরা।

Advertisement

বৈঠকের পরে কাউন্সিলারদের বেশির ভাগই ফোন ধরেননি। সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিউটন মজুমদার শুধু বলেন, ‘‘বৈঠকের ব্যাপারে যা বলার দলের উচ্চ নেতৃত্ব বলবেন।’’ তপন ফোন, মেসেজের উত্তর দেননি। বাড়িতে গিয়েও তাঁর দেখা পাওয়া যায়নি। দলের এক জেলা নেতা বলেন, ‘‘কালনায় পুরপ্রধান নির্বাচন নিয়ে যা ঘটেছে, তা যেন আর না ঘটে তার জন্য কাউন্সিলরদের লিখিত বয়ান নেওয়া হয়েছে।’’ স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘‘দলবিরোধী কোনও কিছু করা যাবে না, বারবার বলছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement