—ফাইল চিত্র।
দখল করে দুর্গাপুরের ডিএসপি টাউনশিপের কোয়ার্টার ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ অতীতেও উঠেছে এলাকায়। তাতে শাসক দলের স্থানীয় নেতা, কর্মীদের একাংশের জড়িত থাকার অভিযোগও উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে রবিবার টাউনশিপ ঘুরে বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা জানালেন তৃণমূলের দলীয় নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, ইতিমধ্যেই দলের নাম করে কয়েকজন এই বেআইনি কারবার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে এ দিন এলাকা ঘুরে দেখা দলটি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এমন অভিযোগ নতুন নয়। এমনকি, ডিএসপি-র প্রাক্তন কর্মীদেরও কোয়ার্টার থেকে বার করে দিয়ে দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে অতীতে। কিন্তু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে কোনও দিনই তেমন গা করেননি তৃণমূল নেতৃত্ব। ফলে, এই ‘বেআইনি কারবার’ বেড়েছে। বহিরাগতদের জন্য এলাকার পরিবেশও খারাপ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ডিএসপি-র বর্তমান ও প্রাক্তন কর্মীরা।
তা হলে কী এমন ঘটল, যে আচমকা এলাকা পরিদর্শন? তৃণমূল সূত্রে খবর, সম্প্রতি জেলার চার নেতা-নেত্রীকে দুর্নীতির অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিস ধরিয়েছে দল। এর পরেই নড়াচড়া শুরু হয়েছে দলের অন্দরে। এই পরিস্থিতিতে রবিবার তৃণমূলের ১ নম্বর ব্লকের আহ্বায়ক তথা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি জয়ন্ত রক্ষিত-সহ আরও কয়েকজন ওয়ার্ডে টাউনশিপের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। কথা বলেন কোয়ার্টারে থাকা মানুষজনের সঙ্গে। পরে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের লোকজন কোয়ার্টার দখলে মদত দিচ্ছে বলে অপপ্রচার রয়েছে। আমরা বাসিন্দাদের বলেছি, এ সব কাজে দলের কেউ যুক্ত নন। দু’টি পাড়ার প্রায় ৪০টি কোয়ার্টার ঘুরে সাত-আটটি গোলমাল ধরা পড়েছে। কে কত টাকা করে নিয়েছেন, সব খোঁজ নিয়েছি।’’
জয়ন্তবাবুর অভিযোগ, কিছু বিজেপি কর্মী এবং তৃণমূলের নাম করে কয়েক জন ব্যক্তি এই বেআইনি কারবারে জড়িত। তিনি বলেন, ‘‘কোয়ার্টারের বাসিন্দাদের বলেছি, কেউ কোয়ার্টার দখল করতে এলে জানাবেন। আমাদের নাম করে কেউ টাকা চাইতে এলে দেবেন না।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘তৃণমূলের লোকজন কী ভাবে টাউনশিপ জুড়ে কোয়ার্টারের বেআইনি কারবার ফেঁদে বসেছেন, তা সেখানকার বাসিন্দারা ভাল মতোই জানেন। বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে লাভ নেই।’’