TMC

TMC: দামোদরের মাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন তৃণমূল নেতা! প্রশাসনের দ্বারস্থ দলেরই একাংশ

অবৈজ্ঞানিক ভাবে মাটি কাটার জন্য নদের মানা ভেঙে যাচ্ছে। এর ফলে বর্ষায় ব্যাপক নদী ভাঙনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২২ ০৯:১০
Share:

তৃণমূল নেতা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নিজস্ব চিত্র।

দামোদর নদের মানার কাছ থেকে মাটি কেটে বিক্রি করে দিচ্ছেন তৃণমূলের উপপ্রধান ও জেলা পরিষদ সদস্যার স্বামী। এমন অভিযোগ নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূল কর্মীরাই। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ১ নম্বর ব্লকের দলুইবাজার ২ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায়। এ নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের একাংশ গণস্বাক্ষর সম্বলিত অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি) ও মহকুমা শাসকের কাছে। এমনকি প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিযোগকারী তৃণমূল কর্মীরা।

Advertisement

প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে ওই তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, দলুইবাজার ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গৌতম রায় তাঁর ৮ নম্বর বালি খাদান থেকে বালি তোলার পরিবর্তে নদের মানার কাছ থেকে মাটি কাটাচ্ছেন। প্রতি দিন প্রায় ৬০ থেকে ৭০টি ট্র্যাক্টরের ট্রলিতে সেই মাটি তুলে তিনি বিক্রি করে দিচ্ছেন। অবৈজ্ঞানিক ভাবে মাটি কাটার জন্য নদের মানা ভেঙে যাচ্ছে। এর ফলে বর্ষায় ব্যাপক ভাঙনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

দলুইবাজার ২ নম্বর অঞ্চলের তৃণমূল কর্মী পিন্টু মল্লিক, চন্দ্রশেখর গিরিদের অভিযোগ, উপপ্রধান দীর্ঘ সাত বছর ধরে নদ থেকে মাটি কেটে বিক্রির কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু গত এক মাস হল একেবারে নদের মানার কাছ থেকে মাটি কাটিয়ে বিক্রি করা শুরু করেছেন তিনি। এর ফলে নদের মানা যেমন ভেঙে যাচ্ছে, তেমনই এলাকায় জল সঙ্কটের পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। তাঁদের দাবি, ‘‘অন্যায় কাজ নিয়ে এখন আর কেউ প্রতিবাদ করার সাহস দেখান না। তবে এই ঘটনা নিয়ে এলাকার চাষি ও সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছেন।’’

Advertisement

যদিও এই সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন গৌতম। তাঁর দাবি, ‘‘বৈধ ভাবে বালি খাদানের লিজ নিয়ে আমি খাদান চালাচ্ছি।’’ মেমারি বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্যের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না বলেই এই সমস্যা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। তাই বিধায়কের ইশারাতেই তাঁর অনুগামীরা তাঁকে সামাজিক ভাবে অপদস্ত করতে চাইছেন বলে অভিযোগ করেন গৌতম। যদিও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিধায়ক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement