অভিযোগপত্র হাতে। নিজস্ব চিত্র
বিডিও-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে আগেই বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তৃণমূল নেতারা। এ বার সরাসরি মহকুমাশাসককে চিঠি দিয়েও হেনস্থার অভিযোগ করলেন কালনা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নীলিমা কাপ্তি। শুক্রবার তিনি দাবি করেন, যথার্থ বিচার না হওয়া পর্যন্ত পঞ্চায়েত সমিতি এবং বিডিও-র কার্যালয়ে যাবেন না তিনি। সরকারি গাড়ি বয়কটেরও সিদ্ধান্ত নেন। পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষেরাও আপাতত ব্লক অফিসে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মহকুমাশাসক (কালনা) নীতেশ ঢালির আশ্বাস, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
এ দিন সাড়ে ১১টা নাগাদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির সঙ্গে এসেছিলেন সহ সভাধিপতি সুভাষ ঘোষ, কর্মাধ্যক্ষ মালতী মান্ডি, আমানত আলি, পলাশ মণ্ডল, আশিস কোলে, সুমন চট্টোপাধ্যায়, হরেকৃষ্ণ মণ্ডল প্রমুখ। মহকুমাশাসককে একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়ে নীলিমাদেবী দাবি করেন, বৃহস্পতিবার দুপুরেও তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘ সময় ধরে সরকারি কর্মচারীদের নিয়ে বিডিও নিজের কার্যালয়ে বৈঠক করছিলেন। ওই সময় বহু মানুষ এবং স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা পরিষেবা না পেয়ে ফিরে যায়। বৈঠক শেষে ব্লকের এক আধকারিককে বিষয়টি জানাতে গেলে দুর্ব্যবহার করে জানানো হয় ‘সময় নেই’। এতে আমি অপমানিত এবং ব্যথিত।’’
এ দিন মহকুমাশাসকের কাছে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে নানা অভিযোগ জানান তাঁর। ব্লক প্রশাসনের কাজে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে, সরকারি উপভোক্তাদের হয়রান করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন।
কিন্তু ব্লক অফিসে বা কার্যালয়ে না গেলে পঞ্চায়েত সমিতি থেকেও তো মানুষ সুবিধে পাবেন না? সভাপতির বক্তব্য, ‘‘সাধারণ মানুষের যাতে অসুবিধা না হয় তার জন্য রাস্তার পাশে কোথাও অস্থায়ী ছাউনি করে সেখানে বসে কাজ চালাব।’’
অভিযোগ মানতে চাননি বিডিও মিলন দেবগড়িয়া। তাঁর দাবি, ‘‘পঞ্চায়েত সমিতিকে অন্ধকারে রেখে কাজ করি না। সরকারি নিয়ম মেনেই চলে ব্লক প্রশাসন।’’