Siddiqullah Chowdhury

চাঁদা তুলে খিচুড়ি খাব, তা-ও কাটমানি খেতে দেব না কাউকে, বার্তা দিলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা

মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের মেমারি-২ ব্লকে তৃণমূলের একটি মিছিল হয়। সেই কর্মসূচিতে ছিলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। সেই মঞ্চ থেকেই ‘কাটমানি’ নিয়ে কড়া বার্তা দেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেমারি শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২২ ১৭:৩৪
Share:

কাটমানি নিয়ে কড়া বার্তা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর। — ফাইল চিত্র।

চাঁদা তুলে খিচুড়ি খাবেন। কিন্তু, কাউকে কাটমানি খেতে দেবেন না। মঙ্গলবার দলীয় কর্মসূচি থেকে এই ঘোষণাই করলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী তথা পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। মন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে যদিও কটাক্ষ করেছে বিজেপি।

Advertisement

মঙ্গলবার মেমারি-২ ব্লকে তৃণমূলের একটি মিছিল বার হয়। সেই কর্মসূচিতে ছিলেন মন্ত্রী। ওই মঞ্চ থেকেই ‘কাটমানি’ নিয়ে কড়া বার্তা দেন তিনি। সিদ্দিকুল্লা বলেন, ‘‘দলের নেতারা কাটমানি খাবে না। এটা কিন্তু আমি আপনাদের বললাম। আমরা চাঁদা তুলব, বলে তুলব। আলু-পেঁয়াজ নিয়ে খিচুড়ি ভাত খাব। কিন্তু কাটমানি কাউকে খেতে আমি দেব না।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার ৭২টি প্রকল্প চালু করেছে সাধারণ মানুষের জন্য। তফসিলি জাতি এবং তফসিলি জনজাতির মানুষদের উদ্দেশে সিদ্দিকুল্লার বার্তা, ‘‘তফসিলি জাতি এবং তফসিলি জনজাতির মা, বোন এবং ভাইরা আমাদের বলুন আপনারা কী পাননি। কী করতে হবে আমাদের বলুন। আমরা যে চেয়ারে বসব তার পাশের চেয়ার তফসিলি জাতি এবং তফসিলি জনজাতির মানুষদের জন্য ছেড়ে দেব। এ কথা আমি আপনাদের দিয়ে যাচ্ছি। কথার খেলাপ হবে না। আপনাকে সম্মান না জানিয়ে আমরা কোনও কাজ করব না।’’

সিদ্দিকুল্লার ‘কাটমানি’ মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয়চন্দ্র বলেন, ‘‘তৃণমূলের সঙ্গে মানুষের কোনও সংযোগ নেই। শুধু কাটমানি এবং তোলাবাজির সঙ্গে সংযোগ আছে। তাই মন্ত্রী এখন প্রতিজ্ঞা করছেন কাটমানি তোলা যাবে না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement