প্রতীকী ছবি।
পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা খুনের ঘটনায় পাঁচ দিনের মাথায় দলেরই তিন কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গত মঙ্গলবার খুন হন আউশগ্রামের দেবশালা পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বক্সীর ছেলে চঞ্চল। তিনি দেবশালা অঞ্চলের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন। ধৃতদের জেরা করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম আসানুর মোল্লা, মণি হোসেন মোল্লা এবং বিশ্বরূপ মণ্ডল। এর মধ্যে আসানুরের বাড়ি কলমডাঙা গ্রামে। সে দেবশালা অঞ্চলের যুব তৃণমূল সভাপতি এবং দেবশালা পঞ্চায়েতের সদস্যও। মণি দেবশালা পঞ্চায়েতের সদস্য। তাঁর বাড়ি ভাতকুণ্ডা গ্রামে। ওই পঞ্চায়েতেরই প্রধানের পুত্র ছিলেন চঞ্চল। এ ছাড়া তৃণমূলের দেবশালা অঞ্চলের সভাপতি তথা লবণধার গ্রামের বাসিন্দা হিমাংশু মণ্ডলের ছেলে বিশ্বরূপকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দেবশালার তৃণমূলের একটি অংশের বক্তব্য,চঞ্চলকে দেবশালা অঞ্চল তৃণমূল সভাপতির পদে বসানোর ভাবনাচিন্তা করছিল দল। সেই পদ পেলে এলাকার ক্ষমতা পুরোপুরি চঞ্চলের হাতে চলে যেতে পারে এই আশঙ্কা থেকেই তাঁকে পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তবে খুনে সুপারি কিলারকে কাজে লাগানো হয়েছিল, সেই বিষয়ে পুলিশ এক প্রকার নিশ্চিত। সোমবার ধৃতদের আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
গত মঙ্গলবার আউশগ্রামের গেরাই গ্রাম থেকে বাবাকে নিয়ে বাইকে চড়ে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন চঞ্চল। দু’টি বাইকে চড়ে জনা চারেক দুষ্কৃতী গুলি চালায় বলে জানান চঞ্চলের বাবা শ্যামল। গত বৃহস্পতিবার নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি তথা তৃণমূলের আউশগ্রামের পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল। দলের লোক এই ঘটনায় জড়িত থাকলে গুলি করে মারার নিদানও দেন তিনি। রবিবার এ নিয়ে অনুব্রত বলেন, ‘‘যে খুন করবে সে ধরা পড়বে। কে কোন দল করে বা কোন পদে আছে দেখে লাভ নেই। পুলিশ পুলিশের কাজ করবে। খুন করলে সাজা পেতে হবে। প্রয়োজনে ফাঁসি হবে।’’