বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়। — নিজস্ব চিত্র।
নতুন মোড় নিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে হুমকি চিঠি দেওয়ার ঘটনা। ওই কাণ্ডে আসানসোল দক্ষিণ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে। ওই চিঠিতে প্রেরক হিসাবে বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় নামে বর্ধমানের এক বাসিন্দার উল্লেখ ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। বুধবার পুলিশ বাপ্পাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
হুমকি চিঠি-কাণ্ডে বর্ধমানের শাঁখারিপুকুর এলাকার বাসিন্দা বাপ্পার বিরুদ্ধে আসানসোল দক্ষিণ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে লোকসেবককে ভয় দেখানো, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, লোকসেবককে কর্তব্য পালনে বাধা দিতে বলপ্রয়োগ করা, নিজেকে অন্য ব্যক্তি হিসাবে জাহির করে প্রতারণা ইত্যাদি ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বাপ্পা পেশায় বর্ধমান এগজিকিউটিভ কোর্টের পেশকার। বুধবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। এ কথা নিজেই জানিয়েছেন বাপ্পা। বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ পুলিশের একটি দল তাঁকে হুমকি চিঠি সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করে বলে জানিয়েছেন বাপ্পা। চিঠি পাঠানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাপ্পা। তাঁর কথায়, ‘‘আমি বিচারপতিকে কোনও হুমকি চিঠি লিখিনি। আমি সরকারি কর্মচারী হওয়ায় কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই।’’
বাপ্পার পক্ষে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসকের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছে। ওই সংগঠনের দাবি, বাপ্পার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করার দাবিও তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই সংগঠনের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সভাপতি বিশ্বজিৎ সাঁই।
বর্ধমানের শাঁখারিপুকুরের বাসিন্দা বাপ্পা। এ নিয়ে বর্ধমান পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সনৎ বক্সী বলেন, ‘‘বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় আমার ওয়ার্ডের হাউসিংয়ে থাকলেও তাঁকে সে ভাবে আমি চিনি না। তৃণমূলের সঙ্গে ওঁর কোনও যোগাযোগ নেই।’’
বাপ্পাকে নিয়ে একই সুর পদ্মশিবিরের নেতাদের গলাতেও। বিজেপির পূর্ব বর্ধমান জেলার সহ-সভাপতি শ্যামল রায় বলেন, ‘‘বিচারপতিকে হুমকির চিঠি পাঠানোটা খুবই গুরুতর অপরাধ। কিন্তু বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। তিনি বিজেপি কর্মী বা সমর্থক নন।’’