—প্রতীকী চিত্র।
মোবাইলের সূত্র ধরে ট্রেনের কামরা থেকে মহিলাযাত্রীর ব্যাগ থেকে সোনার গয়না, মোবাইল এবং নগট টাকা চুরির অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল বর্ধমান জিআরপি। ধৃতের নাম সুশান্ত মাঝি। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের অধিকারীপাড়ার বাসিন্দা তিনি। সেখান থেকেই শনিবার তাঁকে চুরির অভিযোগে পাকড়াও করা হয়।
জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিহারের গয়ার তেকারি থানার বাসিন্দা অমরনাথ কেশরী গত ১০ অগস্ট সপরিবারে রাজেন্দ্রনগর এক্সপ্রেস ট্রেনে চেপে হাওড়া যাচ্ছিলেন। সংরক্ষিত কামরায় ছিলেন তাঁরা। ১১ অগস্ট ওই ট্রেনটি বর্ধমান স্টেশন ছাড়ার পর অমরনাথের স্ত্রী লক্ষ্য করেন তাঁর ব্যাগটি নেই। তিনি এদিক-ওদিক খোঁজেন। কিছু ক্ষণ পরেই বুঝতে পারেন ব্যাগটি চুরি করেছে কেউ। ব্যাগটিতে সোনার তৈরি দুল, চারটি সোনার এবং একটি হিরের আংটি, নগদ ১২ হাজার টাকা, ডেবিট কার্ড, মোবাইল-সহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজ ছিল। ট্রেনটি হাওড়ায় পৌঁছনোর পর সেখানকার জিআরপিতে অভিযোগ দায়ের করেন অমরনাথ। তদন্তের জন্য অভিযোগপত্রটি বর্ধমান জিআরপি-র কাছে পাঠিয়ে দেয় হাওড়া জিআরপি।
চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করেই চোরের সন্ধান পান তদন্তকারীরা। শনিবার অভিযুক্তকে তাঁর বাড়ি থেকে পাকড়াও করা হয়। অভিযুক্ত পরে অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন বলে জিআরপির দাবি। তা ছাড়া চুরি যাওয়া মোবাইলটিও ধৃতের কাছ থেকে পাওয়া যায়। সেটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শনিবারই অভিযুক্তকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। চুরি যাওয়া বাকি জিনিসপত্রের উদ্ধারের জন্য এবং ওই ঘটনায় জড়িতদের হদিশ পেতে ধৃতকে তিন দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় জিআরপি। সেই আবেদন মঞ্জুর করেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।