মেমারির দুই প্রতিবন্ধী ভাইকে দেওয়া হল টিকা। নিজস্ব চিত্র।
আনন্দবাজার অনলাইনে খবর প্রকাশের পরেই নড়েচড়ে বসল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বাড়ি গিয়ে কোভিড টিকা দেওয়া হল নির্বাচন কমিশনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর, মেমারির দুই প্রতিবন্ধী ভাইকে।
কলানবগ্রাম এলাকার পূর্বপাড়ার বাসিন্দা সঞ্জীব এবং মানিক মণ্ডল এ বারের বিধানসভা ভোট নির্বাচন কমিশনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে ভোটারদের বুথে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। ভোট শেষের পরে এখন আর তাদের কথা কেউ মনে রাখেনি। এমনকী, করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আগেও মেলেনি টিকা। সঞ্জীব এবং মানিকের কথা বুধবার জানিয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। বৃহস্পতিবার সকালে মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য হাজির হন তাঁদের বাড়িতে। সঙ্গে মেডিক্যাল টিম নিয়ে ছিলেন, মেমারী-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং মেমারি-১ ব্লকের যুগ্ম বিডিও। সকলের উপস্থিতিতে কোভিশিল্ডের প্রথম টিকা দেওয়া হয় দুই ভাইকে।
শারীরিক ভাবে বিশেষ সক্ষম দুই ভাইয়ের টিকাকরণের পরে বিধায়ক মধুসূদন বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। বুধবার রাতে জানতে পারি। তার পরেই দ্রুত উদ্যোগী হয়েছি।’’ সেই সঙ্গে বিধায়কের স্বীকারোক্তি, ‘‘প্রশাসনের উচিত ছিল বিষয়টি মাথায় রাখা।’’ টিকা পাওয়ার পরে সঞ্জীব বলেন, ‘‘আমাদের কথা জানার পরেই টিকার ব্যবস্থা করায় বিধায়ক এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’’
অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের পরে দুই ভাই জন্য বারে বারে টিকার জন্য হাসপাতালে গিয়েছেন। কিন্তু লাইনে দাঁড়িয়েও মেলেনি করোনা টিকা। করোনা পরিস্থিতি জনিত বিধিনিষেধের কারণে স্থানীয় বিডিও-র দফতরে সশরীরে যেতে না পারলেও ফোনে টিকা না পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছিলেন সঞ্জীবরা। তবুও সুরাহা মেলেনি।
বুধবার সঞ্জীব বলেন, ‘‘বিডিও অফিসে জানানোর পাশাপাশি আমরা স্থানীয় পালসিট স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও গিয়েছিলাম টিকার জন্য। সেখানে আমাদের বলে দেওয়া হয়েছে, টিকা এখন নেই, যখন আসবে তখন দেওয়া হবে।’’ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেই টিকা নিয়ে তাঁদের দুয়ারে চলে এলেন বিধায়ক।