Hilsha

রকমারি মিষ্টি, ক্রেতা কম

ব্যবসায়ী তাপস সেন, সোমনাথ সেনরা জানান, তাঁরা এ বার ‘জামাই থালি’ রেখেছে দোকানে।  ৪০০ টাকার সেই ব্যবস্থায় মিলছে ১৬ রকমের মিষ্টি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২১ ০৫:৩৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনা রুখতে বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। বন্ধ গণ পরিবহণ। দোকান খোলা রাখার সময়সীমাও বাঁধা। এ সবের জেরে জামাইষষ্ঠীর মিষ্টির বাজারও মার খেল এ বার, দাবি ব্যবসায়ীদের। বর্ধমান, কালনা থেকে গুসকরা— নানা জায়গার মিষ্টি ব্যবসায়ীদের দাবি, জামাই আপ্যায়নে নানাবিধ মিষ্টির আয়োজন তাঁরা রেখেছেন। কিন্তু আশা অনুযায়ী বিক্রি হয়নি।

Advertisement

বর্ধমান শহর লাগোয়া নবাবহাট বাসস্ট্যান্ডের মিষ্টি ব্যবসায়ী দেবাদিত্য চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কোনও বাস চলছে না। প্রতি বছর বাস থেকে নেমে অনেকে দোকানে মিষ্টি কেনেন। সে ভিড় একেবারেই নেই এ বার।’’ বোরহাটের মিষ্টি ব্যবসায়ী বিবেক খান্ডেলওয়াল, রথতলার মনোরঞ্জন মালিকদের দাবি, ‘‘জামাইষষ্ঠীর কেনাকাটা হয় মূলত আগের দিন সন্ধ্যায়। কিন্তু এ বার সেই সুযোগ নেই। দিনেরবেলায় যেটুকু রসগোল্লা, দই, সন্দেশ বিক্রি হয়েছে। গণ পরিবহণ কিছুটা সচল থাকলে বা সন্ধ্যায় দোকান খোলায় খানিক ছাড় থাকলে হয়তো আর কিছুটা বিক্রি হত।’’ শক্তিগড় ল্যাংচা হাবের ব্যবসায়ী শেখ ইমদাদুল্লা, বিশ্বজিৎ দাসেরা জানান, শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে অনেকেই গাড়ি থেকে নেমে মিষ্টি কিনে নিয়ে যান। জাতীয় সড়কে এখন গাড়ির দেখা নেই। তাই তাঁরাও মাছি তাড়াচ্ছেন বলে জানান।

তবে এর মধ্যেই অনেকে বিশেষ মিষ্টি তৈরি করেছেন। বর্ধমানের ব্যবসায়ী তাপস সেন, সোমনাথ সেনরা জানান, তাঁরা এ বার ‘জামাই থালি’ রেখেছে দোকানে। ৪০০ টাকার সেই ব্যবস্থায় মিলছে ১৬ রকমের মিষ্টি। এ ছাড়া ‘জামাই ভোগ’, মালাই চমচমও বিক্রি হচ্ছে ভাল, জানান তাঁরা। গুসকরা বাসস্ট্যান্ডের একটি দোকান আবার তৈরি করেছে ‘রসগোল্লা চাট’। ওই দোকানের মালিক রাজীব দে বলে, ‘‘অনেকে মিষ্টির পাশাপাশি টক, ঝালও পছন্দ করেন। ক্রেতা টানতে নতুন এই আয়োজন রেখেছি। চাহিদাও ভাল।’’ কালনা শহরের মিষ্টি ব্যবসায়ী রণজিৎ মোদক জানান, ক্ষীর, দুধ, ছানার নানা মিষ্টি তৈরি করেছেন তাঁরা। মঙ্গলবার মিষ্টি কেনার চাহিদা তুলনায় বেড়েছে, জানান শহরের ব্যবসায়ীদের কেউ-কেউ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement