প্রতীকী ছবি।
র্যাগিংয়ের ভয়ে স্কুলে যেতে চাইছে না অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া ছেলে, এমনই অভিযোগ নিয়ে পুরসভা, পুলিশ এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই ছাত্রের পরিবার।
তাঁদের দাবি, ছেলে অন্য স্কুলে ভর্তি করে দেওয়ার কতা বলছে। যদিও কালনা মহারাজা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, স্কুলের মধ্যে কোনও ছাত্রকে কোনও ধরনের নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি।
কালনা শহরের বারুইপাড়ার বাসিন্দা প্রেমেন্দ্র কুমার নামে ওই কিশোরের মা, মৌমিতাদেবী শুক্রবার সকালে পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগের কাছে যান। তাঁর দাবি, জানুয়ারি থেকে ঠিকমতো স্কুলে য়েতে চাইছে না ছেলে। জোর করে পাঠালেও টিফিনের পরেই স্কুল থেকে নিয়ে আসার জন্য কান্নাকাটি শুরু করে দিচ্ছে। তাঁদের দাবি, প্রথমে কিছু বলতে না চাইলেও সম্প্রতি ছেলেকে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করায় সে জানিয়েছে স্কুলেরই নবম শ্রেণির কিছু ছাত্র নির্যাতন চালাচ্ছে তার উপর। কেমন নির্যাতন? পরিবারের দাবি, জোর করে ধুমপান করানো হচ্ছে। রাজি না হলে পকেটে বিড়ি গুঁজে দেওয়া, ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পুরপ্রধানের পরামর্শে স্কুলেও যান তিনি। মৌমিতাদেবী বলেন, ‘‘ছেলে ভয়ে স্কুলে যেতে চাইছে না। মামারবাড়ির কাছে স্কুলে ভর্তি হতে চাইছে।’’ পুরপ্রধানের কথায় ওই ছাত্রের সঙ্গে কথা বলেন কালনা থানার ওসি প্রণব মুখোপাধ্যায়। স্কুলের সঙ্গেও কথা বলা হয়।
যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, স্কুলের ভিতরে কোনও ভাবেই ওই ছাত্রের সঙ্গে কিছু করা হয়নি। প্রধান শিক্ষক শ্রীমন্ত ঘোষ বলেন, ‘‘প্রেমেন্দ্র স্কুলে শান্তশিষ্ট ছেলে হিসেবেই পরিচিত। ওর মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি। জানতে পেরেছি টিউশনে গিয়ে ওই ছাত্রের সঙ্গে কোনও সমস্যা হয়েছে অন্য ছাত্রদের।’’ এ ব্যাপারে একটি ছেলের কথা আলাদা ভাবে মৌমিতাদেবী কথাও বলেছেন বলে তাঁর দাবি। স্কুলে ছাত্রদের গতিবিধিতে নজর রাখা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।