রাজবাঁধে আন্দোলন। নিজস্ব চিত্র
রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা ভারত পেট্রোলিয়ামের বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় বৃহস্পতিবার কাঁকসার রাজবাঁধে সংস্থার তেলের ডিপো ও গ্যাস বটলিং প্ল্যান্টে ধর্মঘটে নামল বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন। এ দিন সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু হয়। ২৪ ঘণ্টা তা চলবে বলে দাবি শ্রমিক সংগঠনগুলির। এর জেরে এ দিন সকাল থেকে কর্মীরা ভিতরে ঢুকতে পারেননি। গ্যাসের কোনও ট্যাঙ্কারকেও ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এর জেরে এ দিন উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে বলে তেল সংস্থার রাজবাঁধ কার্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
এ দিন সকাল ৬টা থেকে রাজবাঁধে ওই তেলের ডিপোর গেটের সামনে জড়ো হতে থাকেন সিটু, আইএনটিইউসি-র কর্মী-সমর্থকেরা। যোগ দেয় আইএনটিটিইউসি-ও। শ্রমিক নেতারা জানান, এ দিন দেশ জুড়েই সংস্থার বিভিন্ন প্ল্যান্টে এই ধর্মঘটে শামিল হয়েছেন শ্রমিক-কর্মীরা। শুধু তেলের ডিপো নয়, গ্যাস বটলিং প্ল্যান্টের বাইরেও আন্দোলন শুরু হয়। আইএনটিটিইউসি নেতা শঙ্কর দাস দাবি করেন, কেন্দ্রীয় সরকার একের পরে এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করার ‘চক্রান্ত’ করছে। নতুন কোনও শিল্প হয়নি। এখন পুরনো সংস্থাগুলিও বিক্রি করা হলে শ্রমিকদের স্বার্থ বিঘ্নিত হবে বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন।
ধর্মঘটে এ দিন যোগ দেন সংস্থার স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মীদের অনেকেও। কোনও কর্মী কাজে যোগ দিতে গেলে গেট থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তেলের ট্যাঙ্কার, গ্যাসের গাড়িও ঢোকা-বেরনো করতে পারেনি। সেগুলি গেটের বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিল। সিটু নেতা স্নেহাশিস মণ্ডলের বক্তব্য, ‘‘সারা দেশের সঙ্গে এখানে আমরাও ধর্মঘটে শামিল হয়েছি। সংস্থা বাঁচাতে কর্মীরা স্বেচ্ছায় যোগ দিয়েছেন।’’
শ্রমিক সংগঠনগুলি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজবাঁধে এই তেলের ডিপোয় প্রায় ৫০ জন কর্মী রয়েছেন। গ্যাস বটলিং প্ল্যান্টে কর্মীর সংখ্যা প্রায় দেড়শো জন। শ্রমিক নেতাদের দাবি, এ দিন কোনও কর্মীই কাজে যোগ দেননি। সংস্থার রাজবাঁধ কার্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ধর্মঘটের জেরে উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। গ্যাস বটলিং প্ল্যান্টে কার্যত কোনও কাজ হয়নি বলে জানান এক আধিকারিক।