নুরনগরে । নিজস্ব চিত্র
কুলটির নিয়মতপুরে অবৈধ অস্ত্র কারখানার বিষয়ে ফের তথ্যানুসন্ধান শুরু করেছে কলকাতা পুলিশের ‘স্পেশাল টাস্ক ফোর্স’ (এসটিএফ)। সোমবার দুপুরে এসটিএফের আট জনের একটি দল নিয়ামতপুরের নুরনগরে পৌঁছয়। দলের সদস্যেরা বেশ কয়েক ঘণ্টা অনুসন্ধান চালিয়েছেন। তাঁরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলেন বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৯ মে নিয়ামতপুরের নুরনগর এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে চালানো অস্ত্র কারখানার হদিস মেলে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কারখানাটি চলছিল। ২৯ মে কলকাতা পুলিশের এসটিএফের একটি দল নিয়ামতপুর পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে কারখানাটির হদিস পায়। সেই থেকেই এই কারখানাটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এই অবৈধ কারবারে যুক্ত অভিযোগে এখনও পর্যন্ত সাত জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। উদ্ধার হয়েছে ৩৫০টি সেভেন এমএম পিস্তলের খোল। এ বিষয়ে ফের তথ্যানুসন্ধান করতে আসা এসটিএফের দলের সদস্যেরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এই বিষয়ে যাবতীয় তদন্ত করছে এসটিএফ। স্থানীয় থানা দলটির সঙ্গে রয়েছে।
এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস ছয়েক আগে কলকাতার বড়বাজারে অস্ত্র বিক্রি করতে আসা মুঙ্গেরের একটি দলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই কুলটির নিয়ামতপুরের ওই অস্ত্র কারখানার হদিস মেলে। এখানে মূলত সেভেন এমএম পিস্তলের খোল তৈরি করা হত। সেগুলি মুঙ্গেরে নিয়ে গিয়ে পালিশ করে অন্য যন্ত্রাংশ লাগিয়ে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হত। খোল তৈরি করার জন্য লেদ মেশিনের প্রয়োজন হয়। নিয়ামতপুরের ওই কারখানায় একাধিক লেদ মেশিন বসানো হয়েছিল।