হেপাটাইটিস ভাইরাস। শিল্পীর কল্পনায়। ছবি: আইস্টক।
‘হেপাটাইটিস র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট’ শুরু হতে চলেছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। এই পরীক্ষার ফলে, সহজেই হেপাটাইটিসে আক্রান্ত রোগীকে শনাক্ত করা যাবে। কলকাতা থেকে ‘র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট’ আনার কাজও প্রায় সম্পূর্ণ। আগামী সপ্তাহ থেকেই এই পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে বলে আশা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
‘ন্যাশনাল ভাইরাল হেপাটাইটিস কন্ট্রোল প্রোগ্রাম’-এর মাধ্যমে আগেও এই রোগ নিয়ে নানা পদক্ষেপ করেছে বর্ধমান মেডিক্যাল। সেপ্টেম্বর থেকে হাসপাতালের বহির্বিভাগে হেপাটাইটিসের চিকিৎসা মিলছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হেপাটাইটিস ‘এ’ এবং ‘ই’ রোগ জলবাহিত এবং হেপাটাইটিস ‘বি’ এবং ‘সি’ রক্ত সংক্রান্ত। বর্ষার সময় থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। সারা বছর হাসপাতালে প্রায় হাজার দু’য়েক হেপাটাইটিসে আক্রান্ত রোগী আসেন।
এই রোগ মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার বছর দু’য়েক আগে হেপাটাইটিস নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প শুরু করেছে। গত বছর থেকে রাজ্য সরকারও এই কর্মসূচি নিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, অন্তঃসত্ত্বাদের ‘র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট’ করানো হবে। তা হলে মা ও গর্ভস্থ শিশুর এই রোগ রয়েছে কি না, জানা যাবে। এ ছাড়া, ব্ল্যাড ব্যাঙ্ক, থ্যালাসেমিয়া, এড্স এবং ডায়ালসিস বিভাগে আসা রোগীদের হেপাটাইটিস পরীক্ষা করানো হবে। এই ব্যবস্থার ফলে, সহজেই হেপাটাইটিস রোগীকে চিহ্নিতকরা যাবে।
হাসপাতাল সূত্রের দাবি, এই ব্যবস্থা চালু হওয়ার আগে কোনও রোগীকে সন্দেহ হলে তাঁকে ‘ম্যানুয়াল’ পদ্ধতি হেপাটাইটিস টেস্ট করানো হত। হাসপাতালের এক কর্তা জানান, গত নভেম্বরে এই সংক্রান্ত একটি বৈঠক হয়। সেখানেই পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত হয়। রাজ্যের সহযোগিতায় আপাতত দু’শো কিট আসছে, বলেও জানান তিনি।