প্রতীকী ছবি।
বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না আসানসোল পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য তথা প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তবস্সুম আরার। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে পুরসভার ‘লেটারহেড’ ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। কী ভাবে তিনি এই কাজ করলেন, সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুর-প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। যদিও পুরসভার প্যাড ব্যবহার করে তিনি কোনও অন্যায় করেননি, দাবি তবস্সুম আরার।
খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, পুরসভার ‘লেটারহেডে’ একটি ‘অভিযোগ’ লিখে সোমবার রাতে কুলটি থানায় জমা দেন তবস্সুম আরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, থানার আধিকারিকের উদ্দেশ্যে লেখা ওই ‘অভিযোগপত্রে’ তিনি উল্লেখ করেছেন, আসানসোল পুরসভার ১০৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী বিজেপি কাউন্সিলর অভিজিৎ আচার্য সম্প্রতি ডিসেরগড়ের একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে ‘কুরুচিকর’ মন্তব্য করেছেন। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুক।
মঙ্গলবার সকালে এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিজিৎবাবু। তাঁর দাবি, ‘‘একবারের জন্যও আমি মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করিনি।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘ব্যক্তিগত মতামত সংবলিত অভিযোগ থানায় জানাতে উনি পুরসভার প্যাড কী ভাবে ব্যবহার করলেন?’’ পুরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিও বলেন, ‘‘তাঁর অভিযোগ থাকতেই পারে। কিন্তু পুরসভা সংক্রান্ত বিষয় নয়, এমন অভিযোগ থানায় জানাতে পুরসভার লেটারহেড ব্যবহার করা নিয়ম বহির্ভূত কাজ।’’
এ প্রসঙ্গে পুর-প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুরসভার লেটারহেড ব্যবহার করা উচিত হয়নি। বিষয়টি আগে আমাকে জানানো উচিত ছিল। সবিস্তার খোঁজ করব।’’ তবে, এতে অন্যায়ের কিছু দেখছেন না বলে মন্তব্য করেছেন তবস্সুম আরা। তিনি বলেন, ‘‘আমি অবশ্যই পারি। তবে থানায় কোনও অভিযোগ জমা করিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে অভিযুক্তের কুরুচিকর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পুলিশকে তথ্য সরবরাহ করেছি মাত্র।’’ এ বিষয়ে পুলিশ আধিকারিকেরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।