প্রতীকী ছবি।
বারো দিন নিখোঁজ থাকার পরে উদ্ধার হল এক বৃদ্ধের দেহ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার জামুড়িয়ার দামোদরপুর গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে কার্যতে কঙ্কালে পরিণত হওয়া একটি দেহ দেখতে পান স্থানীয় এক মহিলা। জামাকাপড় দেখে সেটি কৃষ্ণ বিশ্বকর্মার (৬০) দেহ বলে শনাক্ত করেন তাঁর বাড়ির লোকজন। কী ভাবে ও কেন মৃত্যু, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণবাবু জামুড়িয়ায় একটি গাড়ি সারাইয়ের গ্যারাজে কাজ করতেন। ১৯ জুন থেকে তাঁর খোঁজ মিলছিল না। রবিবার গ্রাম থেকে পাঁচশো মিটার দূরে জঙ্গলে ছাগল চরাতে গিয়ে এক মহিলা একটি কঙ্কাল দেখতে পান। তাঁর কাছে খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে ভিড় জমান। কৃষ্ণবাবুর বাড়ির লোকজনও পৌঁছন। জামাকাপড় দেখে তাঁরা মৃতদেহ শনাক্ত করেন বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। দেহ আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
মৃতের ছেলে অজয় বিশ্বকর্মা দাবি করেন, ১৯ জুন তাঁর বাবা মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তার পরে আর ফেরেননি। তাঁরা আত্মীয়-পরিজনদের বাড়িতে খোঁজ করে কোথাও সন্ধান না পেয়ে পর দিন জামুড়িয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। অজয়বাবুর দাবি, “বাবার দেহ কঙ্কাল হয়ে গিয়েছে। দেহ থেকে পা আলাদা ছিল। জামা-প্যান্টের টুকরো ও জুতো দেখে বুঝতে পারি, সেটি বাবারই দেহ।”
পুলিশ জানায়, কঙ্কালটি গাছের নীচে পড়েছিল। ওই গাছের ডালে একটি দড়ি ঝুলছিল। দেহটি পচেগলে নীচে পড়ে গিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন বৃদ্ধ। তবে ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে, দাবি তদন্তকারীদের।