বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে আন্দোলনে এসএফআই। — নিজস্ব চিত্র।
দুর্নীতির অভিযোগকে সামনে রেখে মঙ্গলবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনে নামল এসএফআই। বিশ্ববিদ্যালয়ের দফতর রাজবাটির প্রধান গেটের তালা বন্ধ ছিল। সেই তালা ভেঙে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢোকেন আন্দোলনকারীরা। এসএফআইএয়ের এই আন্দোলনের কড়া সমালোচনা করেছে তৃণমূল।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কশিট তৈরির বরাত দেওয়ায় দুর্নীতি হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার আন্দোলনে নেমেছিল এসএফআই। শহরের বাদামতলা এলাকা থেকে তাদের মিছিল শুরু হয়। মিছিল পৌঁছয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। রাজবাটির প্রধান গেট তালাবন্ধ ছিল। আন্দোলনকারীরা প্রথমে গেট টপকানোর চেষ্টা করেন। পরে লাঠি এবং পাথর দিয়ে গেটের তালা ভেঙে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করেন তাঁরা। এর পর উপাচার্যের ঘরে যেতে গেলে সেখানেও তালা দিয়ে দেওয়া হয়। এর পর উপাচার্যের দফতরে প্রবেশের মুখে তাঁরা রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
তৃণমূল সমর্থিত বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ইউনিয়নের সম্পাদক শ্যামাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলতে যান। তবে পড়ুয়ারা সেই আবেদনে সাড়া দেননি। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়ালে ছবি এঁকে প্রতিবাদ জানান।
এসএফআইয়ের পূর্ব বর্ধমান জেলার সম্পাদক অনির্বাণ রায়চৌধুরীর অভিযোগ, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয় দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। যে সংস্থা সময়ে রেজাল্ট বার করতে পারে না, তাদের ২১ কোটি টাকা দিয়ে বরাত পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। আসলে ২১ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। আমরা এর বিহিত চাই। এর সঙ্গে যুক্ত আছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।’’
এ নিয়ে তৃণমূলের কর্মচারী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শ্যামাপ্রসাদের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই। অথচ এসএফআই গেট বন্ধ রেখে আন্দোলন করছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কাজকর্ম বিঘ্নিত হচ্ছে।’’
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী উপাচার্য আশিসকুমার পাণিগ্রাহীর আশ্বাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি তুলে নেন এসএফআই সদস্যরা। আশিস বলেন, ‘‘উপাচার্য নিমাইচন্দ্র সাহা এখন কলকাতায়। আমি দুপুর থেকেই ছাত্রছাত্রীদের বলি স্মারকলিপি আমার কাছে জমা দিতে। কিন্তু ওঁরা তা জমা দেননি। স্মারকলিপি দিতে গেলে আগে থেকে তারিখ এবং সময় জানাতে হয়। তা হলে উপাচার্য থাকেন। কিন্তু আজ উনি নেই। কলকাতায় বৈঠকে যোগ দিতে গেছেন।’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজবাটির প্রধান গেটে তালা ভাঙা এবং কয়েকজন আধিকারিকের নেম প্লেট ভাঙা নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এটা কারা করেছে আমি তা জানি না। তবে কাজটা ঠিক হয়নি।’’