কাটোয়ায় পোস্টার। নিজস্ব চিত্র
শহরে একের পর এক পুকুর ভরাট করার অভিযোগ তুলে পোস্টার পড়েছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায়। পুকুর ভরাট করা বাবদ নেতা-বিধায়কেরা ‘কাটমানি’ নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে সেখানে। যদিও অভিযোগ মানতে চাননি কোনও নেতা।
বৃহস্পতিবার শহরের শাঁখারিপট্টি এলাকায় একটি দেওয়ালে সাদা কাগজে কালো কালিতে ছাপানো ওই পোস্টারে চোখে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের। পোস্টারের নীচে লেখা রয়েছে ‘জয় হিন্দ, জয় বাংলা’। বিধায়ক তথা পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা অমর রাম, সাংসদ সুনীল মণ্ডলের নাম রয়েছে পোস্টারে। উদাসীনতার অভিযোগ রয়েছে প্রশাসনের বিরুদ্ধেও।
এর সঙ্গেই শহরের জামাইপাড়া এলাকার বাসিন্দা সাবু শেখ পুকুর ভরাট করছেন দাবি করে ব্যবস্থা নেওয়ারও আর্জি জানানো হয়েছে। সাবু শেখ যদিও এ দিন দাবি করেন, ‘‘আমি রাবিশ ফেলার ব্যবসা করি। কোনও পুকুর ভরাট করিনি। আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’’
ওই পোস্টারে দাবি করা হয়েছে, জলের সমস্যা দেখা দিলেও ‘কাটমানি’ খেয়ে ওয়ার্ডের ছেলেরা বিভিন্ন পুকুর ভরাট করে অন্যায় কাজ করে চলেছে। ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে শুরু করে ১২ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত বেশ কয়েকটি পুকুর বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে। কেউ পুকুর বুজিয়ে বাগান করছে, আবার কেউ বা টোটো রাখার জায়গা করেছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। অথচ, পুরপ্রধান কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। বেআইনি কাজ বন্ধ করার পাশাপাশি পুকুর সংস্কার করারও দাবি জানানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অনুমান, তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর মদত রয়েছে এতে।
যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব কোনও যোগের কথা মানেনি। সাংসদের সঙ্গে ফোনে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা কাটোয়া শহর তৃণমূল সভাপতি অমর রামকে দু’বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। মেসেজেও কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। তবে পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা জানি না ভিত্তিহীন ওই পোস্টার কে বা কারা মেরেছে। মনে হয়, বিরোধী কোনও রাজনৈতিক দল এটা করতে পারে।’’