Lynching

কোন্দলে মারধর, ধৃত ৬ মেমারিতে

তৃণমূল ও স্থানীয় সূত্রের দাবি, ব্লক সভাপতির অনুগামী বলে পরিচিতদের মধ্যে বিবাদ বাধে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জুলু শেখ ও ধনঞ্জয় গুপ্তের গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিট হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেমারি শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২৩ ০৮:৩৭
Share:

লুটপাটের অভিযোগ উঠল মেমারির বড়পলাশন পঞ্চায়েতের বামুনিয়ায়। প্রতীকী চিত্র।

তৃণমূলের ব্লক সভাপতির অনুগামীদের কোন্দলে মারধর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠল মেমারির বড়পলাশন পঞ্চায়েতের বামুনিয়ায়। পুলিশ এই ঘটনায় বুধবার রাতে ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের চার দিন জেল হেফাজতে পাঠায় আদালত। পুলিশ জানায়, ধৃত বাপন ঘোষ, অপূর্ব মোদক, মিনহাজউদ্দিন শেখ, বাসুদেব হাজরা, সপ্তর্ষি দাঁ ও তরুণ ঘোষের বাড়ি মেমারির গয়েশপুর ও মণ্ডলগ্রামে। মালম্বা বাজার থেকে তাদের ধরা হয়। মেমারি ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি হরিসাধন ঘোষ অবশ্য দাবি করেন, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই।

Advertisement

তৃণমূল ও স্থানীয় সূত্রের দাবি, ব্লক সভাপতির অনুগামী বলে পরিচিতদের মধ্যে বিবাদ বাধে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জুলু শেখ ও ধনঞ্জয় গুপ্তের গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিট হয়। তৃণমূলের অন্দরে দু’পক্ষই ব্লক সভাপতির অনুগামী বলে পরিচিত। অভিযোগ, সোমবার জুলুর লোকেরা ধনঞ্জয়ের লোকজনকে মারধর করে। পাল্টা অভিযোগ, বুধবার সন্ধ্যায় জুলু মেমারির বামুনিয়ায় ছাগল কেনার জন্য গেলে মারধর করা হয়। তিনি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। জুলুর ভাই সাহান শেখের দাবি, ‘‘দলগত দ্বন্দ্ব থেকেই জুলু-সহ তিন জনকে মারধর করা হয়েছে। এর নেতৃত্ব দিয়েছে অঞ্চল সভাপতি ধনঞ্জয় গুপ্ত।’’ ধনঞ্জয়ের পাল্টা দাবি, ‘‘আমার অনুগামীদের দু’দিন আগে মারধর করা হয়েছে।’’ তিনি অভিযোগ করেছেন, বড়পলাশন অঞ্চল তৃণমূলের অফিসে বসে থাকার সময়ে কয়েক জন ঢুকে ভাঙচুর চালাচ্ছিল। তিনি প্রতিবাদ করায় মারধর করা হয়।

পুলিশ সূত্রের দাবি, গয়েশপুর ও মণ্ডলগ্রামে ৬৫ বিঘা খাস জমি রয়েছে। সেই জমির দখল নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। জুলুর আত্মীয় মফিজুল পুলিশে অভিযোগ করেন, বুধবার বিকেলে জুলু মোটরবাইকে বামুনিয়ায় গেলে, জমি-জায়গা সংক্রান্ত বিবাদ ও পূর্ব শত্রুতায় কয়েক জন রড, লাঠি, শাবল নিয়ে তাঁর উপরে হামলা চালায়। তিনি কোনও রকমে সেখান থেকে পালিয়ে এক জনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। তাঁকে সেখান থেকেও টেনে বার করে মারধর করা হয় এবং সঙ্গে থাকা টাকা কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে কয়েক জন জখম হন।

Advertisement

মেমারি ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি হরিসাধন ঘোষের যদিও দাবি, ‘‘বড়পলাশনের ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। পুরোটাই গ্রামীণ বিবাদ।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement