আটক ডাম্পার। নিজস্ব চিত্র
বেআইনি বালি পাচারে পুরোপুরি রাশ পড়ছে না জেলায়। শনিবার ভোরে বেআইনি বালি বোঝাই ডাম্পার ও ট্রাক্টর আটক করল কুলটির ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর। আধিকারিকেরা জানান, সেগুলি ঝাড়খণ্ডের দিকে যাচ্ছিল। ইস্কো বাইপাস রোড লাগোয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধরা হয়। চালকেরা প্রয়োজনীয়নথিপত্র দেখাতে না পারায় গাড়িগুলি আটক ও জরিমানা করা হয়েছে।
বেশ কিছু দিন ধরেই কুলটির বিস্তীর্ণ অঞ্চলে দামোদর ও বরাকর নদের বালি তুলে পাচার করার অভিযোগ উঠেছিল। এই ধরনের সবচেয়ে বেশি অভিযোগ উঠেছে চিনাকুড়ি এলাকা থেকে। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে সরব হয় নির্মীয়মাণ নানা সরকারি প্রকল্পের কাজে যুক্ত ঠিকা সংস্থাগুলি। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে তারা অভিযোগ জানিয়েছে, বালি তুলে ঝাড়খণ্ডে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে আসানসোল শিল্পাঞ্চলে সরকারি প্রকল্পের কাজে বালির অভাব দেখা দিচ্ছে।
কুলটি ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই শনিবার ভোরে ইস্কো বাইপাস রোড-সহ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। বালি বোঝাই একটি ট্রাক্টর ও দু’টি ডাম্পারের চালক বালির পরিবহণের উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তাঁদের আটক করে জরিমানা করা হয়েছে। কুলটির ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক জয়দেব কর বলেন, ‘‘রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে বালি পাচার রোখার অভিযান ধারাবাহিক ভাবে চলবে।’’
ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কর্মী-আধিকারিকদের অভিযোগ, চিনাকুড়িতে একটি বেআইনি বালিঘাট তৈরি হয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন দুষ্কৃতী সেখান থেকে নিয়মিত বালি তুলে রাতে ডাম্পারে বোঝাই করে ভিন্ রাজ্যে পাচার করছে বলে অভিযোগ। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বালি পরিবহণ বন্ধ রাখা হয়েছিল। নভেম্বরের গোড়া থেকে তা ফের শুরু হয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) খুরশিদ আলি কাদরি জানান, রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া বন্ধ করতে জেলায় অবৈধ বালিঘাট ও বালি পাচার বন্ধ করা হবে। এ বিষয়ে ব্লক দফতরের আধিকারিকদের নির্দেশও পাঠানো হয়েছে। তার প্রেক্ষিতেই এ দিন অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানান কুলটির ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক জয়দেববাবু।