ধৃত সাদ্দাম শেখ। — নিজস্ব চিত্র।
বাঁকুড়া থেকে নিখোঁজ সাদ্দাম শেখকে গ্রেফতার করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। মঙ্গলবার দিল্লি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খুন-সহ নানা মামলায় দীর্ঘ দিন জেল খেটেছেন এই সাদ্দাম। চলতি মাসের শুরুর দিকে তিনি জামিনে মুক্তি পান। বাড়ি ফেরার পথে তাঁর উপর হামলা হয়। তার পর থেকেই সাদ্দামকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এমনকি, আদালতে হাজিরা দিতেও যাননি তিনি।
পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার বাসিন্দা সাদ্দামের বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধের মামলা রয়েছে। ২০১৭ সালেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। বিচারাধীন বন্দি হিসাবে রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল তাঁকে। ৫ সেপ্টেম্বর তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়। বাঁকুড়ার জেল থেকে তাঁকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য দু’জন আত্মীয় এসেছিলেন। গাড়ি করে তাঁদের সঙ্গেই সাদ্দাম বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু সেই গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা।
ঘটনাস্থল থেকে সাদ্দামের দুই আত্মীয়কে জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। কিন্তু সাদ্দাম যেন উবে গিয়েছিলেন। কোনও ভাবেই আর তাঁর নাগাল পাচ্ছিল না পুলিশ। জামিনে মুক্তির শর্ত হিসাবে কাটোয়া আদালতে তাঁর হাজিরা দিতে আসার কথা ছিল। তা-ও করেননি।
পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিংহ জানান, দিল্লি থেকে সাদ্দামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে বর্ধমান থানায় নিয়েও আসা হয়েছে। মঙ্গলবারই সাদ্দামকে আদালতে তোলা হবে।
সাদ্দামের বিরুদ্ধে বর্তমানে ২৬টি অপরাধের মামলা চলছে। যার মধ্যে রয়েছে ১৪টি খুনের মামলাও। সাদ্দামের বাবা জঙ্গল শেখ ছিলেন কাটোয়ার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর। কাউন্সিলর থাকাকালীনই খুন-সহ নানা মামলায় গ্রেফতার হন জঙ্গল। গ্রেফতার করা হয় তাঁর ছেলে সাদ্দামকেও। জঙ্গলের স্ত্রী বুড়ি বিবিকেও মাদক মামলায় গ্রেফতার করা হয়। নানা সূত্রের দাবি, বছরখানেক আগে জামিন পেলেও কাটোয়ায় থাকেন না বুড়ি বিবি।
দিন কয়েক আগে জঙ্গল পুরুলিয়ার জেল থেকে জামিনে মুক্তি পান। পরে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা থানার পুলিশ আবার তাঁকে গ্রেফতার করে। বাবার মতো পুত্রও আবার ধরা পড়ে গেলেন।