Asansol Municipal Corporation

বরো চেয়ারম্যান নির্বাচনে আসানসোলে তৃণমূলের কোন্দল, নির্বাচন বয়কট দলেরই কাউন্সিলরদের

আসানসোল পুরনিগমের ২ নম্বর বরো চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়ে তুমুল অশান্তি তৃণমূলেরই কাউন্সিলরদের মধ্যে। নির্বাচন বয়কট করেন বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা। দেওয়া হয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:৪৯
Share:

বাঁ দিক থেকে তৃণমূলের ৪ বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলর শক্তি রুইদাস, অলোক বসু, রাজু সিংহ এবং শ্যামা উপাধ্যায়। — নিজস্ব চিত্র।

আসানসোল পুরনিগমের ২ নম্বর বরো চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়ে তুমুল অশান্তি তৃণমূলেরই কাউন্সিলরদের মধ্যে। নির্বাচন বয়কট করেন বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা। বিক্ষুদ্ধদের বিরুদ্ধে দলগত ভাবে এবং পুরনিগমের তরফেও ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়।

Advertisement

আসানসোল পুরনিগমের ২ নম্বর বরো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোজাম্মেল হোসেন। তিনি পুরনিগমের ৮৯ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী কাউন্সিলর। পুরনিগমের ১০টি বরোর মধ্যে ২ নম্বর বরোটি রানিগঞ্জে। মোজাম্মেলের বরো চেয়ারম্যান হওয়ার বিরোধিতা করেন রানিগঞ্জের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি তথা আসানসোলের ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অলোক বসু-সহ ৪ জন কাউন্সিলর। তাঁরা নির্বাচন বয়কট করেন। বাকি ৭ জন কাউন্সিলর মোজাম্মেলের পক্ষে ছিল। তাঁরা ভোট দেন। অলোকের অভিযোগ, ‘‘যে ভাবে ভোট করানো হয়েছে তা মোটেই ঠিক পদ্ধতি নয়। রানিগঞ্জের মানুষের স্বার্থে আমরা নির্বাচন বয়কট করলাম।’’

এ বিষয়ে মেয়র বলেন, ‘‘অলোক বসু-সহ যে ৪ জন তৃণমূল কাউন্সিলর দলের তথা তৃণমূল কাউন্সিলরদের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ দলগত ভাবে পাশাপাশি পুরনিগমের পক্ষ থেকেও আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। গত বছর ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট হয়েছিল আসানসোলে। তার এক বছর পর বরো চেয়ারম্যান নির্বাচন হয়। তা নিয়ে বার বার মুখ খুলেছেন বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারি। এ বার তিনি বলেন, ‘‘আমরা আগে থেকেই যে কথা বলছিলাম তৃণমূল কাউন্সিলররাও একই কথা বলছেন। অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে, বরো চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত ভুল ছিল।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement