দুর্ঘটনা রুখতে ওভারব্রিজের দাবি উঠেছে অন্ডাল গ্রামে। —নিজস্ব চিত্র।
• সিঙ্গারণ নদীতে বছরভর জল থাকে না। আমরা চায়, স্থায়ী বাঁধ তৈরি করা হোক। তা হলে বাসিন্দাদের স্নান ও সেচের জল মিলবে। গ্রামের শ্মশানে শবদাহ করার জন্য কংক্রিটের পরিকাঠামো নেই। বর্ষায় নাকাল হতে হয়।
মৃনালকান্তি ফরফরে, দীর্ঘনালা
প্রধান: নদীর দু’পাড় কংক্রিটের করা হবে। তার সঙ্গে ৪ ফুট উঁুচু চেক ড্যাম তৈরি হবে। এর জন্য ১৫ লাখ টাকার পরিকল্পনা অনুমোদিত হয়েছে। আগামী অর্থ-বর্ষে কাজ শুরু হবে। শ্মশানে ১৫ বাই ১৫ ফুট লোহার শয্যা তৈরি করা হবে।
• দু’নম্বর জাতীয় সড়ক ছ’লেন হওয়ার পরে গ্রামের সীমানায় দুর্ঘটনা বাড়ছে। একটি আন্ডারপাস ও গ্রামের মোড়ে বাসস্ট্যান্ড দরকার।
লালু নায়েক, অন্ডাল গ্রাম
প্রধান: চার মাস আগে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। তবে ওনারা জানান, এই মুহূর্তে আন্ডারপাস তৈরির পরিকল্পনা নেই। তবুও বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পঞ্চায়েত জানাবে। বাসস্ট্যান্ড তৈরি করা হবে।
• গ্রামে পরিস্রুত জল মেলে না। তিনটি চাপাকলের দু’টিরই জল পান করা যায় না।
চিত্তরঞ্জন পাল, তামলা়
প্রধান: তামলা ও কালীপুরে জনস্ব্যাস্থ কারিগরী দফতরের জলের লাইন নেই। তবে ওঁরা জানিয়েছেন, রামপ্রসাদপুরে দামোদরের উপরে জলপ্রকল্পের দায়িত্ব পঞ্চায়েতকে দেওয়া হবে। তা পেলে আমরা ওই দু’টি গ্রামে প্রকল্পের জল পৌঁছে দেব। তার আগে সাবমার্সিব্যাল পাম্প বসিয়ে ২২টি কল বসানো হবে।
• গ্রামের খেলার মাঠ ডিভিসি অধিগ্রহণ করার পরে বড় মাঠের অভাবে ক্রীড়া চর্চায় ভাটা পড়েছে। গ্রামের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী বাড়ানো দরকার।
অরূপ চট্টোপাধ্যায় ,অন্ডাল গ্রাম
প্রধান: স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন পঞ্চায়েতই করেছে। চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়াতে বিএমওএইচ-র দ্বারস্থ হব। একটা ছোট মাঠ তৈরি করা হয়েছে। জায়গা পেলে বড় মাঠ তৈরির পরিকল্পনা আছে।
• আমাদের পাড়ায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পরিস্রুত জল মেলে না। ভবনটিও জীর্ণ।
অসীম মণ্ডল, ১৩ নম্বর রেল কলোনি
প্রধান: ওই কেন্দ্রটি রেলের জায়গায়। রেল তাদের জায়গায় কোনও নির্মাণ কাজে বাধা দেওয়ায় কিছু করা যায়নি। তবে ওই ভবনটি থেকে একশো ফুট দূরে নতুন ভবন তৈরি করে জল সংযোগের ব্যবস্থা করা হবে।
• ব্লকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে ৫৯০ জন সদস্য থাকলেও সকলে ব্যাঙ্কঋণ পাচ্ছেন না। যাঁরা পাচ্ছেন, তাঁরাও যা পাওয়ার কথা তা পাচ্ছেন না।
অপর্ণা হাজরা, অন্ডাল উত্তর বাজার
প্রধান: ব্যাঙ্কে বেশ কয়েকবার চিঠি দিয়ে বার কয়েক জানিয়েছি. এ বার বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে।
• রাস্তার এক দিকে নর্দমা রয়েছে। দু’দিকে নর্দমা না থাকায় রাস্তা বার বার ভাঙছে। এলাকার সংযোগকারী কাঁচা রাস্তাগুলো পাকা করা দরকার। শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে চাপাকল রয়েছে।
স্বপন হালদার, সকরা
প্রধান: তেল মিলের পাস দিয়ে সকরা যাওয়ার রাস্তা তৈরি শুরু হলেও বাসিন্দাদের বাধায় তা করা যায়নি। ব্যক্তিগত জমি নিয়ে সমস্যা ছিল. তবে জমি পাওয়া গিয়েছে। রাস্তা তৈরি হবে ও জলের সমস্যাও দ্রুত মিটবে।
• অন্ডাল গার্লস স্কুলে পরিকাঠামো উন্নয়ন দরকার। স্কুলের নিজস্ব দেড় বিঘ জমিতে ভবন স্থানান্তর হলে ভাল। ওই এলাকায় ভ্যাট নেই।
সাগর বড়ুয়া, থানা মোড়
প্রধান: রেলের জায়গায় স্কুল। রেল পরিকাঠামোগত উন্নতি করতে দিচ্ছে না। মহকুমাশাসক ও বিডিও-র সঙ্গে স্কুলের নিজস্ব জায়গা পরিদর্শন করেছি। মহকুমাশাসক স্কুল স্থানান্তরের বিষয়ে ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন। পঞ্চায়েত ভবন নির্মাণের খরচ বহন করবে। ২০ লাখ টাকায় বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র তৈরি করা হবে।
• গ্রীষ্মে কলে জল পড়ার সময় যাতে বাড়ানো দরকার।
আনন্দময় মণ্ডল, দীর্ঘনালাগ্রাম
প্রধান: জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। ত্রিস্তরীয় কমিটি ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সমীক্ষা করে দেখবে।
• দু’নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের পরে গ্রামের সীমানা বিপজ্জনক। আন্ডারপাস, রাতে রাস্তায় আলো দরকার। জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের জল ১০ মিনিটের বেশি পড়ে না। একটা পুকুর থাকলেও তা সংস্কারের অভাবে বেহাল।
অরুণকুমার নায়েক, দুবচুরিয়া
প্রধান: ওই গ্রামে জল দেয় ডিএমসি। ওদের সঙ্গে আলোচনা করে জল সমস্যা মেটানো হবে। গ্রামবাসীরা লিখিত আবেদন করলে পুকুর সংস্কার হবে।
• রেশন আনতে যেতে হয় তিন কিলোমিটার দূরে।
করুণাময় পাল, তামলা
প্রধান: খাদ্য সরবরাহ দফতরের কাছে সমস্যার জানিয়েছি।
• জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতর জল দেয় না। অন্ডাল রেল স্টেশন থেকে জল আনতে হচ্ছে। নর্দমা নিয়েও সমস্যা রয়েছে।
চন্দ্রশেখর নিষাদ, ১৩ নম্বর রেল কলোনি
প্রধান: নর্দমা ও জলের সমস্যা দ্রুত মেটানো হবে।
• অন্ডাল মোড়ে বাসস্ট্যান্ড, শৌচাগার নেই।
মিনতি হাজরা ,অন্ডাল মোড়
প্রধান: স্ট্যান্ড, যাত্রী প্রতীক্ষালয়, শৌচাগার ও জলাধার তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিডিও সমীক্ষা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।