derailment

লাল সিগন্যাল অগ্রাহ্য করেই এগিয়ে গিয়েছিলেন লোকাল ট্রেনের চালক, শক্তিগড়-কাণ্ডে জানাল রেল

পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে ধরা পড়েছে, যান্ত্রিক কোনও গোলযোগের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেনি। বরং প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, সিগন্যাল না মেনে এগিয়ে যাওয়ার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২৩ ১৬:১০
Share:

শক্তিগড়ে লাইনচ্যুত হয়ে যাওয়া সেই লোকাল। — নিজস্ব চিত্র।

হাওড়া-বর্ধমান শাখার শক্তিগড়ে লোকাল ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় চালকের গাফিলতিকেই দায়ী করলেন রেল কর্তৃপক্ষ। বুধবার রাতের ওই দুর্ঘটনায় লোকাল ট্রেনের চালক লাল সিগন্যাল অগ্রাহ্য করেই ট্রেন নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন বলেই জানিয়েছে রেল। ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

পূর্ব রেল জানিয়েছে, সিগন্যাল না মেনে এগিয়ে যাওয়ার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। যাকে রেলের পরিভাষায় বলা হয়, ‘সিগন্যাল পাস্‌ড অ্যাট ডেঞ্জার’ (এসপিএডি)। রেলের ভাষায় বিপদসঙ্কেত অর্থাৎ লাল সিগন্যাল না মেনে চালক যদি ট্রেন নিয়ে এগিয়ে যান, তখন তাকে বলা হয় ‘এসপিএডি’। বুধবার রাতে ডাউন ব্যান্ডেল লোকালের ক্ষেত্রে সেই ঘটনাই ঘটেছে বলে জানিয়েছেন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র। দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাওয়া গেলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। গত বছর শিয়ালদহ স্টেশনে এই কারণেই দু’টি লোকাল ট্রেনের সংঘর্ষ হয় বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।

বুধবার শক্তিগড়ের দুর্ঘটনা ঘিরে উঠছে নানা প্রশ্ন। দু’টি লাইন যেখানে একসঙ্গে এসে মিশেছে তার আগেই নির্ধারিত দূরত্বে রয়েছে ‘ফাউলিং মার্ক’। যা দেওয়া হয় অতি উজ্জ্বল (ফ্লুসেন্ট কালার) রং দিয়ে। যা দিনে এবং রাতে স্পষ্ট ভাবে দেখা যায়। সেই ‘ফাউলিং মার্ক’ এবং সিগন্যাল একসঙ্গে কী ভাবে চালকের নজর এড়াল সেই প্রশ্ন উঠছে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ৯টা ১৬ নাগাদ বর্ধমান থেকে ব্যান্ডেলগামী একটি লোকাল ট্রেন শক্তিগড় স্টেশনে ঢোকার মুখে লাইনচ্যুত হয়ে যায়। ট্রেনটির সামনের দিকের দু’টি কামরা লাইন থেকে নেমে যায়। বুধবার রাত থেকে শুরু হয় সেই কামরা দু’টি রেললাইন থেকে সরানোর কাজ। তার জেরে বৃহস্পতিবার বিপর্যস্ত হয়ে যায় ওই রেলপথে ট্রেন চলাচল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement