Durgapur

নোটিস বোর্ডে সাঁটানো প্রশ্নপত্র, পরীক্ষা নিল স্কুল

ড়ুয়ারা কতটা শিখল, তা খতিয়ে দেখতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে দুর্গাপুরের এমএএমসি টাউনশিপের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২০ ০২:৩৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

আর পাঁচটা স্কুলের মতোই লকডাউনে অনলাইনে পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা করেছিল স্কুল। তবে পড়ুয়ারা কতটা শিখল, তা খতিয়ে দেখতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে দুর্গাপুরের এমএএমসি টাউনশিপের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল।

Advertisement

ওই স্কুলে নার্সারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার ব্যবস্থা রয়েছে। এত দিন অনলাইনে পড়ুয়ারা কতটা পড়াশোনা করেছে তা খতিয়ে দেখতে সম্প্রতি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, পড়ুয়াদের একাংশের উপযুক্ত স্মার্টফোন বা কম্পিউটার নেই। কারও আবার স্মার্টফোন থাকলেও উপযুক্ত নেট-প্যাক নেই। তাই পরীক্ষা নিতে সমস্যায় যাতে না পড়তে হয় সে জন্য হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্নপত্র পাঠানোর পাশাপাশি, ১৭ অগস্ট স্কুলের নোটিস বোর্ডেও প্রশ্নপত্র সাঁটিয়ে দেওয়া হয়। অভিভাবকেরা স্কুলে এসে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রশ্নপত্র লিখে নিয়ে যান। অভিভাবকদের পরামর্শ দেওয়া হয়, পড়ুয়া যখন প্রশ্নের উত্তর লিখবে, তখন যেন তাঁরা পরীক্ষকের ভূমিকা নেন। যাতে পড়ুয়াদের ঠিক মান যাচাই করা সম্ভব হয়। প্রতিটি বিষয়ের জন্য ২০ নম্বর করে প্রশ্ন দেওয়া হয়। পরীক্ষার জন্য সময় দেওয়া হয় সাত দিন।

স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২৪ অগস্ট থেকে প্রতিদিন দু’টি করে শ্রেণির উত্তরপত্র জমা নেওয়া হচ্ছে। ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উত্তরপত্র জমা নেওয়া হবে। এ ভাবে স্কুল কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করায় খুশি অভিভাবকদের একাংশ। তাঁরা জানান, অনলাইনে ক্লাস করতে প্রচুর ‘নেট’ খরচ হয়। মোবাইলের নেটওয়ার্ক ঠিকমতো না থাকায় সমস্যা হয়। অনেকে আর্থিক কারণে নেট-প্যাক ভরাতে পারেননি। স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ভাবে পরীক্ষা নেওয়ায় স্কুলের সব পড়ুয়াই পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেল। কেউ পিছিয়ে পড়ল না। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘‘স্কুলের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। এই পরিস্থিতিতেও স্কুলের সব পড়ুয়া পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেল।’’

Advertisement

স্কুলের প্রধান শিক্ষক তরুণ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘অ্যাসাইনমেন্ট আকারে প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছিল। অভিভাবকেরা সামাজিক দূরত্ব মেনে উত্তরপত্র জমা দিয়ে যাচ্ছেন।’’ স্থানীয় ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবব্রত সাঁই বলেন, ‘‘করোনার জেরে স্কুলে পড়ুয়াদের আসা বারণ। সব অভিভাবককে সঙ্গে নিয়ে এই পরিস্থিতিতে স্কুলের উদ্যোগ প্রশংসনীয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement