Government Office Buildings

সরকারি ভবনে সংরক্ষণ করতে হবে বৃষ্টির জল, নির্দেশ জেলা প্রশাসনের

শুধু প্রশাসনিক ভবন নয়, বিধায়ক বা সাংসদ উন্নয়ন তহবিলে তৈরি ভবনগুলির ছাদেও জল সংরক্ষণে পরিকল্পনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:০৯
Share:

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি ভবনে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক, নির্দেশ জারি করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। শুধু প্রশাসনিক ভবন নয়, বিধায়ক বা সাংসদ উন্নয়ন তহবিলে তৈরি ভবনগুলির ছাদেও জল সংরক্ষণে পরিকল্পনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্কুলে ও পাড়ায় টিউবওয়েলের জলও ভূগর্ভস্থ করার জন্য জেলা পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দফতর কাজ শুরু করেছে, জানান জেলা প্রশাসনের কর্তারা।

Advertisement

১৬ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) রজত নন্দ সব মহকুমাশাসক এবং বিডিও-কে যে নির্দেশ পাঠিয়েছেন, তাতে বলা হয়েছে, ৫০০ বর্গফুট আয়তনের ছাদ হলেই বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে মাটির নীচে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। যে সব নিচু এলাকায় জল দাঁড়িয়ে যায়, সেখানেও প্রয়োজনমতো ব্যবস্থার উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে নির্দেশে। কী ভাবে জল সংরক্ষণ করতে হবে, তা-ও জানানো হয়েছে। সে জন্য ২০ হাজার টাকা খরচ ধরা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বিডিওদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, বিধায়ক বা সাংসদ উন্নয়ন প্রকল্পে কোনও ঘর তৈরি হলে, সেখানেও বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করতে হবে ধরে নিয়েই প্রকল্পের হিসাব কষতে হবে। জেলা উন্নয়ন পরিকল্পনা আধিকারিক (ডিপিএলও) সৈকত হাজরা বলেন, ‘‘গ্রামের পাড়ায় ও স্কুলে পানীয় জলের জন্য প্রচুর টিউবওয়েল তৈরি করতে হয়। সেখানে প্রচুর জল অপচয় হয়। সে জন্য টিউবওয়েলের জলও ভূগর্ভস্থ করার উদ্যোগ শুরু হয়েছে।’’ মঙ্গলকোটের একটি প্রাথমিক স্কুলে সেই কাজ শেষ হয়েছে। তার ছবি বিভিন্ন ব্লকে পাঠিয়ে এই ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, জলাশয় কমে যাচ্ছে। বৃষ্টির জল ধরে রাখার প্রাকৃতিক ব্যবস্থাও বিপন্ন। তাই ছাদে সেই জল ছাদের উপর ধরে ভূগর্ভে পাঠানোর উদ্যোগ হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানে ভাগীরথী, দামোদর ও অজয়ের মতো বড় নদী-নদ ছাড়া, অসংখ্য ছোট নদী রয়েছে। তবু জেলার ভৌম জলস্তর নামছে কেন? ‘সেন্ট্রাল গ্রাউন্ড ওয়াটার লেভেল কমিশন’ জানায়, ক্রমাগত মাটির তলা থেকে চাষের জন্যে জল তোলায় পূর্ব বর্ধমানের পাঁচটি ব্লককে ‘বিপজ্জনক’ ও ছ’টি ব্লককে ‘আংশিক বিপজ্জনক’ ঘোষণা করা হয়েছে।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞেরা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তবে তাঁদের মতে, শুধু জল সংরক্ষণ করলেই হবে না, পুকুর-খালের মতো জলাশয়কে রক্ষা করতে হবে। না হলে এই উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়বে। প্রশাসনের কর্তাদের আশ্বাস, পুকুর বাঁচাতে মৎস্য দফতর প্রচার চালাচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement