সময়ে কাজ শেষ হবে তো! চিন্তা

শিল্পীরা জানান, মণ্ডপ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে নির্ধারিত সময়েই। কিন্তু শেষ মুহূর্তের টানা বৃষ্টিতে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৯ ০০:২৫
Share:

দুর্যোগের মধ্যে মণ্ডপ তৈরি। সিটি সেন্টারে। নিজস্ব চিত্র

আবহাওয়া দফতরের বার্তা সত্যি প্রমাণ করে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে নিম্নচাপের বৃষ্টি। এতে কপালে ভাঁজ পড়েছে কালীপুজোর মণ্ডপ শিল্পীদের। তাই বৃষ্টি মাথায় নিয়েই কাজ করতে হচ্ছে তাঁদের। তার পরেও দুর্গাপুরের বহু মণ্ডপের কাজই শুক্রবার রাত পর্যন্ত শেষ হয়নি। চিন্তায় উদ্যাক্তারাও।

Advertisement

শিল্পীরা জানান, মণ্ডপ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে নির্ধারিত সময়েই। কিন্তু শেষ মুহূর্তের টানা বৃষ্টিতে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। শিল্পীরা বলেন, ‘‘শুরুর দিকে এমন টানা বর্ষণে তেমন কাজে ক্ষতি হয় না। কারণ, তখন মূল কাঠামো গড়ার কাজ চলে। কিন্তু শেষ দিকে মণ্ডপের বাইরের সূক্ষ্ম কাজকর্ম করা হয়। বৃষ্টিতে যা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। হাতে সময় নেই বলে মাথায় ছাতা বা ত্রিপল নিয়ে মণ্ডপের শেষ মুহূর্তের কাজ করতে হচ্ছে।’’

দুর্গাপুর টাউনশিপের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ ঘুরে দেখা গিয়েছে, বৃষ্টির জন্য সব জায়গায় কাজ থমকে রয়েছে। বৃষ্টি কমলেই কাজে নেমে পড়ছেন শিল্পীরা। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই জোর বৃষ্টিতে আবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কাজ। তারই মধ্যে কেউ কেউ মাথায় ছাতা নিয়ে কাজ করে চলেছেন। কোথাও দেখা গিয়েছে, কাজ করার পরে সেই অংশ বড় ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন। হর্ষবর্ধন রোড, কণিষ্ক রোড-সহ বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে একই ছবি দেখা গিয়েছে।

Advertisement

হর্ষবর্ধন রোডের একটি মণ্ডপের এ বারের থিম ‘স্বপ্ন পরী’। মণ্ডপ শিল্পী চন্দন সাহা জানান, তুলো, ফোম, আঠা দিয়ে শেষ মুহূর্তের কাজ করতে হচ্ছে। কিন্তু বৃষ্টিতে সেগুলি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জল টেনে তুলোর অংশ খসে পড়ছে। তিনি বলেন, ‘‘রাতদিন এক করেও সময়ে মণ্ডপের কাজ শেষ হবে কি না তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছি।’’ সময়ে কাজ শেষ না হলে উদ্যোক্তারা চুক্তি অনুযায়ী টাকা দেবেন কি না তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

একই ছবি কাঁকসায়। জলের মধ্যেই কাজ করছেন শিল্পীরা। পানাগড়ের একটি মণ্ডপের শিল্পী বাবন ঘোষ বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত কী হবে জানি না। তবে কাজ শেষ করার আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছি!’’ দুর্গাপুরের সি-জ়োন সর্বজনীন কালীপুজো কমিটির তরফে বাপি দুবে বলেন, ‘‘আমরাও দুঃশ্চিন্তায় রয়েছি। সকলে বর্ষার পোশাক পরে কাজ করছেন। আশা করি উদ্বোধনের আগেই কাজ শেষ হয়ে যাবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement