বাসিন্দাদের বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।
দীর্ঘ দিন ধরেই আটকে রয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্তর্গত রানিগঞ্জের নুনিয়া নদীর হাড়াভাঙা সেতুর সংস্করণ। সেতুর দু’পাশে রেলিং না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে বলে জানান বাসিন্দারা। তাঁদের ক্ষোভ, প্রত্যেক বারই আশ্বাস মেলে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। এ বার, ওই সেতুর সংস্কার, মজবুত ভাবে মেরামত এবং রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে মঙ্গলবার বিক্ষোভ মিছিলে শামিল হন এলাকার মানুষজন। পাশাপাশি, ডামালিয়ায় সেতু সংস্কারে দেরি নিয়েও অভিযোগ তোলেন বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, পরিকল্পিত ভাবে সেতু মেরামত না করে সেই যাতায়াতের পথ বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের কয়েক জন। স্থানীয়দের দাবি, তাঁরা এটা কখনই মেনে নেবেন না।
মঙ্গলবার ডামালিয়ায় সেতু নিয়ে বিক্ষোভ আন্দোলনের পর, রানিগঞ্জের তিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের হাড়াভাঙ্গা অঞ্চলের বাসিন্দা এবং আদিবাসী জনজাতি সংগঠনের সদস্যরা এই বিক্ষোভে শামিল হন। তাঁদের দাবি, অতিরিক্ত বর্ষাতে হাড়াভাঙ্গা সেতু জলমগ্ন হয়ে যায়। ভাঙাচোরা এই সেতু দিয়ে পায়ে হেঁটে যাতায়াত করাও মুশকিল হয়। আর সেই বিষয়কে নজরে রেখে, বহু দিন আগে তৈরি হয় ডামালিয়ার সেতু। যা পরে নামকরণ করে হয় সিধু কানু সেতু। সেই সেতু দিয়ে রানিগঞ্জ শহরের পথে যাতায়াত করা সহজ। এ বার, সেই বাইপাস দিয়ে যাতায়াতের পথকে বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। আন্দোলনকারিদের হুঁশিয়ারি, বাইপাস যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হলে অবরুদ্ধ হয়ে যাবে হাড়াভাঙ্গা দিয়ে যাতায়াতের পথও।
এই বিষয়ে রানিগঞ্জ বিডিও জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।