—নিজস্ব চিত্র।
সেতুর কাজ দেখতে গিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বর্ধমান পূর্বের লোকসভা সাংসদ সুনীল মণ্ডল। তাঁর উদ্দেশে গো ব্যাক স্লোগানও দেন গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি অনুকূল নয় দেখে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রাম থেকে বার করে নিয়ে যান।
শনিবার বিকেলে কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকের গাজীপুর পঞ্চায়েতের মালঞ্চা গ্রামে সাংসদকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কাটোয়ার মালঞ্চ ও দেয়াসিন গ্রামের মধ্যে ব্রহ্মাণী নদীর ওপর সেতু তৈরির কাজ চলছে। তা-ই দেখতে গিয়েছিলেন সুনীল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এলাকার বেশ কিছু শ্রমিক সেতু তৈরির কাজে যুক্ত ছিলেন। তাঁদের মজুরি পাওনা আছে। এ ছাড়াও নির্মাণ সামগ্রী কেনা হয়েছিল। যার টাকাও এখনও মেলেনি। সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা বকেয়া। সাংসদ বার বার প্রতিশ্রুতি দিলেও টাকা পাওয়া যায়নি।
বকেয়া টাকা মেটানোর দাবিতে বুধবার বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। সাংসদকে গ্রামে দ্বিতীয় বার পা না রাখারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। তবে এ বিষয়ে সুনীল বলেন, ‘‘ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে গ্রামবাসীদের ঠিক কী চুক্তি হয়েছিল, আমার জানা নেই। যাঁর কাছে পাওনা, সেই ঠিকাদার এখন আর কাজ করছে না। ওই ঠিকাদার বলেছে, দু’-চার লক্ষ টাকা বকেয়া আছে। আর গ্রামবাসীরা ২০ লক্ষ টাকার কথা বলছে। এ নিয়ে আমি জেলাশাসককে বলেছিলাম ঝামেলা মিটিয়ে দিতে।’’
দেয়াসিন গ্রামে সেতুনির্মাণ কাজ দীর্ঘ দিন ধরেই ঝুলে ছিল। জানা যায়, সাংসদ তহবিল থেকে এই সেতুর জন্য ২০১৮ সালে দু’কোটি ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়৷ প্রথম দিকে ব্রহ্মাণী নদীর উপরে কয়েকটি পিলার তৈরির কাজ হয়েছিল। তার পর ঠিকাদার কাজ অসমাপ্ত রেখেই চলে যান। সেতু নির্মাণের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে ফের অন্য ঠিকাদার কাজ শুরু করেন। বুধবার সেতুর ঢালাইয়ের কাজ হচ্ছিল।
বিক্ষোভ নিয়ে কাটোয়ার বিধায়ক তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে টাকা বকেয়া থাকলে তা মিটিয়ে দেওয়া উচিত।