আসানসোলের কুলটিতে ফ্ল্যাটে ঢুকে প্রমোটারের তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ। — নিজস্ব চিত্র।
প্রকাশ্যে একটি ফ্ল্যাটে ঢুকে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ এক প্রোমোটারের বিরুদ্ধে। হেনস্থার শিকার মহিলা এবং প্রবীণরা। আসানসোলের কুলটির ঘটনা। ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়লা মাফিয়াদের সঙ্গে নিয়ে এসে ভাঙচুর চালান ওই প্রোমোটার। থানায় সঠিক সময়ে জানালেও পুলিশ এসেছে অনেক দেরিতে। পুলিশ অভিযোগ মানেনি। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অভিযুক্ত প্রোমোটারের নাম ভরত সাউ। স্থানীয়দের সূত্রে জানা গিয়েছে, কুলটিতে ৪ বছর আগে একটি ফ্ল্যাট তৈরি করেছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই ফ্ল্যাটেই কয়লা মাফিয়াদের নিয়ে এসে তিনি ভাঙচুর চালিয়েছেন । ফ্ল্যাটের বাইরে দেওয়াল ভেঙে গ্যাস কাটার দিয়ে লোহার ব্যারিকেড কেটে নিয়ে যান তিনি। বাসিন্দারা বাধা দিতে এলে চলে মারধর।
ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা আরও অভিযোগ করেছেন, কুলটি থানাকে বারবার ফোন করলেও লাভ হয়নি। পুলিশ সব মিটে যাওয়ার পর ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা। ফ্ল্যাটের বাসিন্দা গৌতম জানান, তারা আতঙ্কে রয়েছেন এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। স্থানীয় কংগ্রেস কাউন্সিলর চৈতন্য মাঝির নেতৃত্বে তাঁরা রাস্তা অবরোধ করেন। তার পর বাধ্য হয়ে প্রোমোটার ভরত ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেয়। ২ জনকে গ্রেফতার করে করা হয়েছে।
এসিপি পশ্চিম সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুলিশ দেরিতে গিয়েছে এই অভিযোগ মিথ্যা। কুলটি থানার বড়বাবু খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন এবং ঘটনাস্থল থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও কয়েক জনকে খোঁজা হচ্ছে। আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই। পুলিশ সমস্ত রকম ব্যবস্থা নিয়েছে।’’
আসানসোল পুরনিগমের স্থানীয় কাউন্সিলর চৈতন্য বলেন, ‘‘প্রকাশ্য দিবালোকে কুলটি -বরাকর জিটি রোডের উপর কুলটি কলেজ মোড়ে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রোমোটারকে দাপাদাপি করতে দেখা গেল। আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। এই পরিস্থিতি দেখার পর ভাবতে ইচ্ছা করছে, যে এই এলাকায় আমরা এখন আর বসবাস করব কি করব না!’’ প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লকের নেতা দুলাল চক্রবর্তীও একই কথা বলেন।