পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদের ফতেপুর বাগদিপাড়ার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যাওয়ার রাস্তা। ছবি: বিপ্লব ভট্টাচার্য।
এলাকায় রয়েছে তিনটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। ভবনের অবস্থা ঠিকই আছে। কিন্তু একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যাতায়াতের রাস্তা পাকা নেই। ফলে, বৃষ্টির সময়ে শিশু ও মায়েদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এই অভিযোগ উঠেছে পূর্ব বর্ধমানের গলসি ১ ব্লকের লোয়া কৃষ্ণরামপুর পঞ্চায়েত এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লোয়া কৃষ্ণরামপুর পঞ্চায়েতের ফতেপুর গ্রামের মুসলিমপাড়া, আদিবাসীপাড়া ও বাগদিপাড়ায় রয়েছে তিনটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, ওই তিন কেন্দ্রের উপরে বহু শিশু ও প্রসূতি নির্ভরশীল। প্রতিটি কেন্দ্রেই রয়েছেন এক জন করে কর্মী ও সহকারী।প্রতিদিন পুষ্টিজনিত খাবার দেওয়ার পাশাপাশি, শিশুদের পড়ানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, কেন্দ্রগুলি পরিচালনায় তেমন কোনও সমস্যা নেই।
তবে বাগদিপাড়ার কেন্দ্রটিতে যাতায়াতের সমস্যা রয়েছে। ওই কেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে প্রতিদিন ৩০ জন শিশু আসে। পাশাপাশি, বেশ কয়েক জন প্রসূতি নিয়মিত আসেন এই কেন্দ্রে। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই কেন্দ্রে যেতে গেলেমাটির রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। ফলে, সামান্য বৃষ্টি হলেই যাতায়াত করা দায় হয়ে যায়। তা ছাড়া রাস্তার দু’পাশ ঝোপ-জঙ্গলে ভরা। বর্ষার সময়ে সাপের উপদ্রবও বাড়ে। ফলে, অনেক শিশু সেখানেযেতে ভয় পায়।
এই কেন্দ্রে নিয়মিত আসেন সুপর্ণা ঘোষ। তিনি বলেন, “বৃষ্টির সময়ে অনেক কষ্ট করে এই কেন্দ্রে যেতে হয়। তাই সেখানে যাতায়াতের রাস্তাটি পাকা করার দরকার। পাশাপাশি, রাস্তার পাশের ঝোপ-জঙ্গলও পরিষ্কার করার দরকার।” ওই কেন্দ্রের কর্মী বনশ্রী ঘোষের দাবি, “আমরা রাস্তার বিষয়ে পঞ্চায়েতকে জানিয়েছিলাম। অন্য কেন্দ্রের রাস্তা পাকা হয়েছে। আমাদেরকেও প্রয়োজনীয় আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।” পঞ্চায়েত প্রধান ফিরোজ মল্লিক বলেন, “রাস্তাটি পাকা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে।”