জামুড়িয়ার এই প্রেক্ষাগৃহের হাল এমনই। নিজস্ব চিত্র
‘নজরুল শতবার্ষিকী ভবন’ পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার একমাত্র প্রেক্ষাগৃহ। কিন্তু সংস্কারের অভাবে তা বেহাল বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্বতন জামুড়িয়া পুরসভার উদ্যোগে জামুড়িয়া-নন্ডী রাস্তার পাশে, পূর্ণাঙ্গ প্রেক্ষাগৃহ নজরুল শতবার্ষিকী ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল। পূর্বতন জামুড়িয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তাপস কবি জানান, ২০০৬-এ বিভিন্ন সংস্থার সহায়তায় প্রায় এক কোটি ২৮ লক্ষ টাকা খরচ করে নির্মিত এই প্রেক্ষাগৃহের উদ্বোধন করেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। প্রেক্ষাগৃহে ৭২২টি আসন আছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রেক্ষাগৃহে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশ থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক ও বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানও হয়। শহরের প্রবীণ বাসিন্দারা জানান, এই প্রেক্ষাগৃহে জাদু প্রদর্শনী, লোপামুদ্রা মিত্র, নচিকেতা চক্রবর্তী, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মতো অনেক শিল্পীরা অনুষ্ঠান করে গিয়েছেন। সিপিএম নেতা আব্দুল কাইয়ুম, স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বনাথ যাদবদের অভিযোগ, “এই প্রেক্ষাগৃহটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।” তাঁরা জানান, ভবনের অনেক জায়গায় পলেস্তারা খসে পড়েছে। ছাদের একটা বড় অংশ থেকে জল পড়ে। বৃষ্টি হলে, অনুষ্ঠানের আয়োজন করা বিড়ম্বনার হয়ে ওঠে। সিটু নেতা মনোজ দত্ত জানান, সম্প্রতি প্রেক্ষাগৃহে সংগঠনের রাজ্য সম্মেলন আয়োজিত হয়েছে। সম্মেলনের প্রথম দিন সকালের দিকে, বৃষ্টির কারণে প্রতিনিধিদের সমস্যা হয়েছিল। অল্প সময় পরে, বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় সম্মেলনের আয়োজন করা সম্ভব হয়েছিল।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, শৌচাগারগুলিও সংস্কারের অভাবে জীর্ণ হয়ে গিয়েছে। তাঁরা জানান, ভবনের বেশ কয়েকটি কাচের জানলা ভেঙে গিয়েছে। এ ছাড়া, আরও দু’টি আমন্ত্রণ হলও আছে। তাতে বিয়ের বাড়ির মতো ঘরোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যায়। পরিকাঠামোগত ‘অভাবে’ ওই দু’টি হলে বড় অনুষ্ঠান করা যায় না। বাসিন্দাদের দাবি, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করে ‘নজরুল শতবার্ষিকী’ ভবনটির পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করা হোক।
আসানসোল পুরসভার মেয়র বিধান উপাধ্যায় জানান, নজরুল শতবার্ষিকী ভবনটি আধুনিক মানের করে তৈরি করা হবে। সে পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।