ঘটনার সময়ে এলাকায় উত্তেজনা। নিজস্ব চিত্র
মহিলাকে মারধরে অভিযুক্ত এক তৃণমূল নেতার ছেলেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা উঠল। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সন্ধ্যায় পশ্চিম বর্ধমানের সালানপুরের দেন্দুয়ায় উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত রাজা খানকে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আটক করা হয়েছে, রাজার বাবা ওই তৃণমূল নেতাকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজার বিরুদ্ধে কল্যাণেশ্বরী বাসিন্দা এক মহিলা মারধরের অভিযোগ করেন। তার ভিত্তিতে রাজাকে গ্রেফতার করে সালানপুর থানায় নিয়ে যাচ্ছিলেন কল্যাণেশ্বরী ফাঁড়ির আইসি। অভিযোগ, দেন্দুয়া হয়ে সালানপুরের দিকে যাওয়ার সময়ে পুলিশের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ ও অবরোধ শুরু করেন রাজার বাবার লোকজন। তাঁদের অনেকের হাতে তৃণমূলের পতাকাও দেখা গিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এর পরে, অভিযুক্তকে পুলিশের গাড়ি থেকে নামিয়ে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাতে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা বাধা দেন। অভিযোগ, সেই সময়ে অভিযুক্তের বাবা ও তাঁর লোকজন পুলিশের উপরে চড়াও হন। পুলিশের এক আধিকারিককে রাস্তায় ধাক্কা মেরে ফেলেও দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এই পরিস্থিতির জেরে এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় কিছুক্ষণ। পরে অবশ্য পুলিশ রাজাকে থানায় নিয়ে আসে। এর পরে, তাঁর বাবা ফের সদলবলে সালানপুর থানায় বিক্ষোভ শুরু করেন বলে অভিযোগ। এর পরেই ওই তৃণমূল নেতাকে আটক করে পুলিশ।
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (কুলটি) ওমর আলি মোল্লা বলেন, ‘‘একটি অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তদন্ত করছে।’’ আটক হওয়ার আগে, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করার পাশাপাশি, ওই তৃণমূল নেতা দাবি করেন, তাঁর ছেলেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে কী ‘উদ্দেশ্য’ তা, অবশ্য বলেননি তিনি। বিষয়টি নিয়ে ব্লক তৃণমূল সভাপতি (সালানপুর) মহম্মদ আরমান বলেন, ‘‘ঘটনাটির খবর শুনেছি। বিস্তারিত খোঁজ-খবর করা হচ্ছে।’’