Dacoits

রাজ্যে আস্তানা গেড়েছে বিহারের ‘কুখ্যাত’ গ্যাং, স্বর্ণব্যবসায়ীদের সতর্ক করল পুলিশ

পুলিশের সতর্কবার্তা পাওয়ার পর রাতের পাহারা জোরদার করতে উদ্যোগী হয়েছেন বর্ধমান শহরের স্বর্ণব্যবসায়ীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:৪২
Share:

বিহারের ‘কুখ্যাত’ গ্যাং নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বর্ধমানে। নিজস্ব ছবি।

বর্ধমানে আস্তানা গেড়েছে বিহারের ‘কুখ্যাত’ গ্যাং। বড়সড় ডাকাতির ছক কষেছে তারা। এমন আশঙ্কা করে স্বর্ণব্যবসায়ীদের সতর্ক করল জেলা পুলিশ। জেলার সমস্ত সোনা-রুপো ব্যবসায়ীদের সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার মধ্যে দোকানপাট বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এমন কয়েক জনের ছবিও পাঠানো হয়েছে দোকান মালিকদের, যাঁদের সন্দেহজনক গতিবিধি ধরা পড়েছে সিসি ক্যামেরায়। যা ঘিরে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে জেলায়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে দাবি, দুষ্কৃতীরা ইতিমধ্যেই পূর্ব বর্ধমানের কালনা, কাটোয়া এবং বর্ধমান শহরে রেইকি করে গিয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, ‘‘পাশ্ববর্তী জেলায় সোনা-রুপোর দোকানে ডাকাতি হওয়ায় আমরা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে দোকান মালিকদের তাড়াতাড়ি দোকান বন্ধ করতে বলেছি।’’

পুলিশের সতর্কবার্তা পাওয়ার পর রাতের পাহারা জোরদার করতে উদ্যোগী হয়েছেন বর্ধমান শহরের স্বর্ণব্যবসায়ীরা। বর্ধমান সদর স্বর্ণশিল্পী ওয়েলফেয়ার সোসাইটি সম্পাদক স্বরূপ কোনার বলেন, ‘‘২০১৫ সালের পর বর্ধমান শহরে একের পর এক জুয়েলারি দোকানে ডাকাতি, ছিনতাই, কেপমারির পর আমরাই ধাপে ধাপে সোনাপট্টি এলাকা থেকে বড়বাজার, বিসি রোডে প্রায় ৪৩টি সিসি ক্যামেরা লাগাই। সেগুলি এখন পুলিশ দেখভাল করছে।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৭ জুলাই বর্ধমানের জনবহুল বিসি রোডে দিনের আলোয় একটি স্বর্ণবন্ধকি সংস্থার অফিসে হানা দিয়ে প্রায় ৩০ কেজি সোনা নিয়ে চম্পট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। শহরের কেন্দ্রস্থল কার্জন গেটের পাশেও দু’টি ব্যাঙ্কে পর পর ডাকাতিরও ঘটনা ঘটে। সব মিলিয়ে এই পুলিশি সতর্কতা নিয়ে রীতিমত আতঙ্কে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement