কামরুজ্জামান। নিজস্ব চিত্র
‘চেন-খুনের’ ঘটনার তদন্তে উদ্ধার করা কিছু নমুনা হায়দরাবাদে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর কথা জানাল পুলিশ। পুলিশ জানায়, ওই ঘটনায় ধৃত কামরুজ্জামান সরকারের মাথার চুলের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
তদন্তকারীরা জানান, ধর্মডাঙা গ্রামে এক মহিলাকে খুনের চেষ্টার সময়ে তাঁর সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় কামরুজ্জামানের। এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে চলে এলে কামরুজ্জামান দ্রুত মোটরবাইকে চড়ে চম্পট দেয়। কিন্তু ধস্তাধস্তির সময়ে ওই মহিলার হাতের মুঠোয় উঠে আসে অভিযুক্তের মাথার চুল। পুলিশ সেই চুল সংগ্রহ করে। পাশাপাশি, হাটকালনা পঞ্চায়েত এলাকার এক মহিলাকে খুনের ঘটনার পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ফের বেশ কিছু মাথার চুল সংগ্রহ করে।
পুলিশের দাবি, জেরায় তাদের কাছে হাটকালনার ওই মহিলাকে খুনের কথা স্বীকারও করেছে কামরুজ্জামান। পুলিশ জানায়, ওই দু’টি জায়গা এবং কামরুজ্জামানের মাথার চুল সংগ্রহ করে পাঠানো হচ্ছে হায়দরাবাদে। শনিবার এ বিষয়ে কালনা থানার পুলিশ আদালতের অনুমতিও নেয়।
কিন্তু এই নমুনা এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? পুলিশের দাবি, দু’টি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া চুল এবং কামরুজ্জামানের মাথার চুল একই হলে সে যে অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তা আদালতে প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরা যাবে।
পুলিশ জানায়, বর্তমানে কালনা উপ-সংশোধনাগারে রয়েছে ‘চেন-খুনি’। সংশোধনাগার সূত্রে খবর, আগে সেখানকার কর্মীদের ধৃত হামলা চালানোর নানা বর্ণনা দিত। তবে সপ্তাহখানেক ধরে সে একেবারেই চুপ। খুনের কথাও অস্বীকার করছে। উপ-সংশোধনাগারের এক কর্মীর কথায়, ‘‘আগে কামরুজ্জামান অনেক কথা বলত। এখন বলছে, তাকে ফাঁসানো হয়েছে।’’ যদিও তদন্তকারীদের দাবি, ধৃতকে মুখ না খোলার বিষয়ে কেউ পরামর্শ দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনা ২ ব্লকের একটি মামলায় আগামী কাল, ৩০ জুলাই ফের তাকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হবে। পুলিশ জানায়, দ্রুত কয়েকটি মামলার চার্জশিটও জমা দেওয়া হবে আদালতে। এ ছাড়াও কামরুজ্জামানকে আরও কয়েকটি মামলায় জেরা করবে মেমারি ও পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ।