ঝাড়খণ্ড থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
তামাক ব্যবসার টাকা তাগাদার জন্য বাইকে করে মেমারি থেকে ছিনুই যাচ্ছিলেন বেণীমাধব চট্টোপাধ্যায়। হঠাৎ তাঁর পথ আগলে দাঁড়াল সাদার রঙের গাড়ি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই জোরজার করে ব্যবসায়ীকে গাড়িতে তোলে সোজা ঝড়খণ্ডের দিকে ছোটে সেই গাড়ি। এই খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করতে নামে বর্ধমানের পুলিশ। অপহরণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তল্লাশি অভিযান করে বেণীমাধবকে উদ্ধার করল পুলিশ। পাকড়াও হল তিন দুষ্কৃতী। সোমবার বর্ধমানের মেমারির ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার বিকেলে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার পর রাতে তাঁর পরিবারের সদস্যদের ফোন করে অপহরণকারীরা। ষাট লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ফোনের ওপার থেকে জানানো হয় ব্যবসায়ীকে আটকে রাখা হয়েছে ঝাড়খণ্ডের পাকড়ের কাছে। মুক্তিপণ না পেলে ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন করা হবে বলে হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা। পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার আমনদীপ জানান, অপহৃত ব্যবসায়ীর ভাগ্নে স্বরূপ চট্টোপাধ্যায় মেমারি থানায় এসে পুরো ঘটনার কথা জানান। তার পর পুলিশও স্থানীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে অভিযুক্তদের গতিপথ। সঙ্গে সঙ্গে একটি তদন্তকারী দল গঠন করে শুরু হয় অভিযান।
ফোনের সূত্র ধরে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঝাড়খণ্ডের পাকুড়ে পৌঁছে যায় তদন্তকারী দল। বেশ কিছু ক্ষণের চেষ্টায় সোমবার অপহৃতকে উদ্ধার করা যায়। পাশাপাশি অপহরণে জড়িত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপহরণে ব্যবহৃত গাড়িটিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেলে ঝাড়খণ্ড থেকে মেমারি থানায় নিয়ে আসা হয় সবাইকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম গোকুল শেখ ওরফে বকুল, আব্দুল আলিম এবং সাহাবুদ্দিন শেখ। মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জ থানার ধুলিয়ানে গোকুলের বাড়ি। বাকি দু’জন ঝাড়খণ্ডেরই বাসিন্দা। মঙ্গলবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।