ফাইল চিত্র।
ছেলের দু’টি কিডনিই খারাপ। টাকাপয়সার অভাবে চিকিৎসা করাতে মুশকিলে পড়েছিলেন বাবা। গলসি ১ ব্লকের রামগোপালপুরের ওই পরিবারের পাশে দাঁড়াল পুলিশ। গলসি থানার সমস্ত পুলিশ কর্মী, আধিকারিকেরা তাঁদের বেতন থেকে এক দিনের টাকা তুলে ৫০ হাজার টাকা দেন ওই পরিবারকে। মঙ্গলবার ওই শিশু সুরজিৎ রুজের কাকা দেবব্রত রুজের হাতে টাকা তুলেও দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘‘কিডনি জোগাড় করা তো দূর, ভাইপোর প্রাথমিক চিকিৎসাটাও করাতে পারছিলাম না। পুলিশের এই সহযোগিতা আমরা সারা
জীবন মনে রাখব।’’
দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া সুরজিতের বাবা সুব্রত রুজ জানান, সম্প্রতি ধরা পড়েছে ছেলের দুটি কিডনি খারাপ। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, কিডনি প্রতিস্থাপন না করা গেলে ওকে বাঁচানো যাবে না। দিনমজুর দম্পতি ছেলের চিকিৎসার জন্য ঘটি-বাটি বিক্রি করেছেন। তাতেও টাকা জোগাড় হয়নি। প্রশাসন, পঞ্চায়েতের কাছেও সাহায্যের আবেদন করেছেন তাঁরা। গলসি থানার পুলিশকর্মীদের দাবি, সংবাদপত্রে খবরটি দেখেই ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর কথা ভাবেন তাঁরা। বর্তমানে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে সুরজিতের। তাই এ দিন টাকা নিতে আসতে পারেননি বাবা-মা। দেবব্রতবাবু জানান, তাঁরাও অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন পুলিশকে।