উদ্ধারের পর পুলিশের সেই গাড়ি। —নিজস্ব চিত্র।
পুলিশের কাছ থেকে তাদের গাড়ি এবং আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। সোমবার এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায়। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশির পর অবশেষে গাড়িটি উদ্ধার হয়েছে। গাড়ি থেকেই মিলিছে আগ্নেয়াস্ত্রগুলো। কিন্তু অভিযুক্তদের কাউকেই ধরা যায়নি। ওই ঘটনায় তিন পুলিশকর্মীকে শাস্তি দিয়েছে দফতর। তালিকায় রয়েছেন এক সিভিক ভলান্টিয়ারও। কী ভাবে পুলিশের কাছ থেকে তাদেরই গাড়ি নিয়ে পালিয়ে গেল ছিনতাইকারীরা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার কাঁকসা থানার একটি পুলিশের গাড়ি ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে কাঁকসা টোলপ্লাজার কাছ থেকে ছিনতাই করে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। গাড়িটি নিয়ে তারা আসানসোলের দিকে চলে যায়। খবর পেয়ে ওই এলাকার সমস্ত থানাকে নাকা তল্লাশির নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনার। সিসিটিভি-তে ছবি দেখে আশপাশের সব থানাকে খবর সজাগ করা হয়। অবশেষে গাড়িটিকে পাওয়া যায় আসানসোলের হটন রোড মোড় সংলগ্ন এলাকায়। জিটি রোডে ট্র্যাফিক সিগন্যালে ফেলে রেখে পালায় অভিযুক্তেরা। আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ এবং ট্র্যাফিক গার্ডের নাকা তল্লাশির সৌজন্যে উদ্ধার হয় গাড়িটি। খবর পেয়ে কাঁকসা থানার পুলিশ গিয়ে গাড়িটিকে নিয়ে যায়। চুরি হওয়া দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজও গাড়িতেই মিলেছে। কিন্তু কে বা কারা আগ্নেয়াস্ত্র-সহ পুলিশের গাড়ি চুরি করে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে, তা এখনও জানা যায়নি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। প্রশ্ন উঠেছে সংশ্লিষ্ট পুলিশের গাড়িতে থাকা পুলিশকর্মীদের ভূমিকা নিয়ে।
ডিসিপি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত জানিয়েছেন, পুলিশের গাড়িতে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের শোকজ় করা হয়েছে। এক এএসআই, দুই কনস্টেবলকে ক্লোজ় করা হয়েছে। শাস্তি দেওয়া হচ্ছে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকেও। অভিষেক বলেন, ‘‘গাড়িতে থাকা পুলিশ কর্মীর বন্দুকও উদ্ধার করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।’’