Durga Puja 2024

পুজোয় থিকথিকে ভিড়ের কথা মাথায় রেখে নৈহাটি এবং কল্যাণী শাখায় বিশেষ বন্দোবস্ত করল পূর্ব রেল

জোর সময়ে বিপুল ভিড় দেখা যায় কল্যাণী এবং নৈহাটি শাখায়। দুর্গাপুজোর সময় ওই শাখগুলিতে প্রচুর ভিড়ের কথা মাথায় রেখে জোড়া ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে পূর্ব রেলওয়ের শিয়ালদহ ডিভিশন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:১৯
Share:

কল্যাণী, নৈহাটির ভিড় সামলাতে নতুন ঘোষণা ট্রেনের। —ফাইল চিত্র।

পুজোর ভিড়ের কথা মাথায় রেখে নৈহাটি এবং কল্যাণী শাখার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করল পূর্ব রেল। সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত জোড়া ট্রেন চলবে বলে সোমবার ঘোষণা করেছেন পূর্ব রেলের মুখ্য জনস‌ংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র।

Advertisement

পুজোর সময়ে বিপুল ভিড় দেখা যায় কল্যাণী এবং নৈহাটি শাখায়। দুর্গাপুজোর সময় ওই শাখগুলিতে প্রচুর ভিড়ের কথা মাথায় রেখে জোড়া ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে পূর্ব রেলওয়ের শিয়ালদহ ডিভিশন। পুজোর দিনগুলিতে নৈহাটি থেকে কল্যাণী সীমান্ত পর্যন্ত যে সব লোকাল ট্রেন যায়, সেগুলি কল্যাণী স্টেশন পর্যন্ত যাবে। কল্যাণী সীমান্ত পর্যন্ত যাবে না। তা ছাড়াও ছয় জোড়া লোকাল ট্রেন যেগুলো শিয়ালদহ-কল্যাণী সীমান্তের মধ্যে যাতায়াত করে, সেগুলোও ১২ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত শুধুমাত্র কল্যাণী স্টেশন পর্যন্ত যাতায়াত করবে।

পুজোর সময় গ্রাম, মফস্‌সলের জনস্রোত সর্বদাই কলকাতামুখী হয়। তবে গত বছর পুজোয় ভিন্ন ছবি দেখা গিয়েছে কল্যাণী শাখায়। শিয়ালদহগামী ট্রেনে তো ভিড় ছিলই, কিন্তু যেটা অবাক করেছিল, সেটা হল শিয়ালদহ থেকে কল্যাণীগামী ট্রেনে থিকথিকে ভিড়। সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত গভীর রাত পর্যন্ত লোকাল ট্রেনগুলিতে ভিড় দেখা গিয়েছে। ওই উন্মাদনার নেপথ্যে ছিল কল্যাণীর আইটিআই মোড়ের কাছে একটি ক্লাবের পুজো। ৩১তম বর্ষে চিনের বিলাসবহুল হোটেল ‘গ্র্যান্ড লিসবোয়া’র আদলে তৈরি হয়ছিল ওই ক্লাবের মণ্ডপ। সেই মণ্ডপ দেখতে কাতারে কাতারে মানুষ কল্যাণীমুখী হয়েছিলেন।

Advertisement

বস্তুত, কলকাতা থেকে কল্যাণী যাওয়ার সহজ উপায় লোকাল ট্রেন। মূলত দুই ধরনের ট্রেন কল্যাণী যায়। শিয়ালদহ থেকে রানাঘাট, শান্তিপুর, গেদে, কিংবা কৃষ্ণনগরের মতো যে কোনও লোকাল ট্রেনে চাপলেই কল্যাণী স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া যায়। এ ছাড়া রয়েছে কল্যাণী সীমান্ত লোকাল, যা কল্যাণীর মূল স্টেশন থেকে পাশের লাইনে এগিয়ে আরও তিনটি স্টেশন পেরিয়ে কল্যাণী সীমান্ত পর্যন্ত যায়। কল্যাণীর পরেই রয়েছে কল্যাণী ঘোষপাড়া, কল্যাণী শিল্পাঞ্চল এবং সব শেষে কল্যাণী সীমান্ত স্টেশন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement