সগরভাঙায় বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
দূষণ রোধে ব্যবস্থা, এলাকার মানুষকে কাজে নিয়োগ করা-সহ নানা দাবিতে শনিবার সকালে দুর্গাপুরের সগরভাঙায় রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় কিছু বাসিন্দা। তাঁদের অভিযোগ, একটি বেসরকারি ইস্পাত কারখানার দূষণে তাঁদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। এলাকার লোকজনকে চাকরি না দিয়ে বাইরে থেকে লোক এনে কাজ করানো হয় ওই কারখানায়। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলেন তাঁরা। স্থানীয় তৃণমূল ও বিজেপি নেতারা পাশে দাঁড়াতে এলেও ওই বাসিন্দারা অরাজনৈতিক আন্দোলনের স্বার্থে তাঁদের চলে যেতে বলেন।
স্থানীয় পুকুর পাড় বস্তি এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাঁদের ছেলেমেয়েরা কারখানায় চাকরি পান না। বাইরে থেকে লোক এনে কাজ করানো হয় কারখানায়। অথচ, কারখানার ধোঁয়া ও শব্দদূষণের জেরে জেরবার অবস্থা তাঁদের। এ সবের প্রতিবাদে শনিবার তাঁরা সগরভাঙা কলোনির বনফুল সরণি অবরোধ করেন। তাঁদের আরও অভিযোগ, ওই কারখানার নির্মাণকাজের সময়ে কয়েকটি বাড়ি ভাঙা পড়েছে। কিন্তু সে জন্য তাঁদের কোনও ক্ষতিপূরণ দেননি কারখানা কর্তৃপক্ষ। কারখানা কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
শুক্রবার প্রশাসনের বেআইনি টোটো ধরপাকড়ের বিরুদ্ধে মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের পাশে আন্দোলন শুরু করেন দুর্গাপুরের শ’খানেক টোটো চালক। বিজেপি জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই তাঁদের পাশে দাঁড়াতে গেলে টোটো চালকদের অনেকে বিরক্তি প্রকাশ করে এলাকা ছাড়েন। তাঁরা দাবি করেন, অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে রাজনৈতিক নেতাদের তাঁরা চান না। শনিবার সগরভাঙাতেও একই রকম ঘটনা ঘটে। এ দিন অবরোধ কর্মসূচি চলার সময়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা সেখানে যান। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তাঁদের জানিয়ে দেন, অরাজনৈতিক আন্দোলন করছেন তাঁরা। তাই নেতাদের দরকার নেই। কিছুক্ষণের মধ্যে পৌঁছন বিজেপির কিছু নেতা-কর্মী। তাঁদেরও একই বক্তব্য জানিয়ে ফিরিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা।
প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ চলে। তার জেরে যানজট হয়। পুলিশ গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে। শেষে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সপ্তাহখানেকের মধ্যে বাসিন্দাদের অভাব-অভিযোগ নিয়ে কথা বলার পুলিশি আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।