Containment Zone

ব্যারিকেডে বসে চলছে গল্পগুজব

শহরের আলমগঞ্জ রোডের প্রান্তিক বাজারে সকাল থেকেই ভিড় উপচে পড়ে। নজরদারি করার লোকও নেই, নিয়ম মানারও বালাই নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২০ ০৩:৪২
Share:

ব্যারিকেডের ফাঁক গলে যাতায়াত খোসবাগানে। ছবি: উদিত সিংহ

মোড়ে-মোড়ে মাইকে সচেতনতার প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু কে শোনে কার কথা! সোমবার বর্ধমান শহরের একাধিক গণ্ডিবদ্ধ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বাঁশের ফাঁক গলে, টপকে যাতায়াত চলছে। ‘মাস্ক’ না পরা, পারস্পরিক দূরত্ব মানার ক্ষেত্রেও চরম অনীহা রয়েছে।

Advertisement

এ দিন শহরে রেকর্ড করোনা-আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। জেলার খণ্ডঘোষ আর মাধবডিহি থানার অফিসার-ইন চার্জ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বিকেলে ওই দু’টি থানায় যান পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, এসডিপিও (দক্ষিণ) আমিনুল ইসলাম খান। ভাস্করবাবু বলেন, “পুলিশকর্মীদের মনোবল বাড়াতে ওই দু’টি থানায় গিয়েছিলাম।’’ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সাত চিকিৎসক ও এক কর্মীও আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার কথায়, “উপসর্গহীনেরা আক্রান্ত হচ্ছেন, সেটা সবাই জানেন। তার পরেও এক শ্রেণির মানুষ সচেতন হচ্ছেন না। তাঁরা ‘মাস্ক’ পরছেন না, পারস্পরিক দূরত্বও মানছেন না। বিশেষ করে যুব সমাজে এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।’’

শহরের আলমগঞ্জ রোডের প্রান্তিক বাজারে সকাল থেকেই ভিড় উপচে পড়ে। নজরদারি করার লোকও নেই, নিয়ম মানারও বালাই নেই। সেখানকার এক ব্যবসায়ী শম্ভ ব্যাপারীর যুক্তি, “মাস্ক পরে কী আর ব্যবসা করা যায়!” স্টেশন বাজারের এক মাছ ব্যবসায়ীও বলেন, ‘‘দূরত্ব রেখে বসলে কোনও খরিদ্দার মাছ কিনতে আসবেন না!” ওই দু’টি বাজারে নিয়মিত যাতায়াত করেন সুচন্দন কবিয়াল, শেখ হামিদুল ইসলামেরা। তাঁদের কথায়, “বাজার খোলা থাকলে ভিড় হবেই।’’ তেঁতুলতলা বাজারেও সকাল থেকে মাছ কেনার ভিড় থাকে। নিরঞ্জন নায়েক নামে এক খরিদ্দারের দাবি, “মাস্ক পরে থাকা যায় না।’’

Advertisement

খোসবাগানকে গণ্ডিবদ্ধ এলাকা ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। খিন্নিতলা মোড়, হাসপাতাল মোড়ে দাঁড়িয়ে দেখা যায়, লোকজন অনায়াসে ব্যারিকেড ভেঙে পার হচ্ছেন। সিভিক ভলান্টিয়ার থাকলেও তাঁদের কথা কেউ শুনছে না। মাঝে মাঝে তাড়া করেও লাভ হচ্ছে না। কেতুগ্রামের শেখ রহিম কিংবা মেমারির সাতগেছিয়ার কল্পনা সিংহদের দাবি, “অন্য রাস্তা চিনি না। সে জন্য ব্যারিকেড টপকাতে হচ্ছে।’’ একই দৃশ্য পাওয়ার হাউস পাড়া, রামকৃষ্ণ রোডে। রাজ কলেজে যাওয়ার মুখে একটি নার্সিংহোমের সামনে বাঁশের ব্যারিকেড রয়েছে। লাগোয়া চায়ের দোকান থেকে ভাঁড় নিয়ে ব্যারিকেডের উপর বসেই চলছে ধূমপান আর গল্পগুজব।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement